নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে লাগানো হয়েছিল সিসি ক্যামেরা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়, গঙ্গার ঘাট, ব্যস্ত রাস্তা, অলিগলি সর্বত্র ক্যামেরায় নজরদারি শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হাতে গোনা দু-চারটি ছাড়া সমস্ত সিসি ক্যামেরা বন্ধ। এমন অবস্থায় দ্রুত ক্যামেরা সচল করার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে পকেটের টাকায় আবাসন ও বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা লাগাতে বাধ্য হচ্ছেন।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েবেলকে চিঠি দিয়ে সমস্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বরানগর শহরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়। বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ২৩০টি ক্যামেরা লাগানো হয়। পরে দফায় দফায় আরও ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ওইসব ক্যামেরা অচল। অবশ্য প্রথমে শহরবাসী বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কোনও ঘটনা ঘটলে তাঁরা সিসি ক্যামেরার ভরসায় থানা ও পুরসভায় দৌড়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে ফুটেজের দরবার করেছেন। এরপরই তাঁরা জানতে পারেন, বেশ কিছু দিন ধরে সিসি ক্যামেরা খারাপ।
কীভাবে বিষয়টি নজরে এল? কিছুদিন আগে শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশ্বর ঢোল লেনে লিচুবাগান এলাকায় এক গৃহবধূর হার ছিনতাই হয়। দুষ্কৃতী দেশবন্ধু রোডের দিকে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা কাউন্সিলারের দারস্থ হয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার তোড়জোড় শুরু করেন স্থানীয়রা। কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, সিসি ক্যামেরা কয়েক মাস ধরে খারাপ। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা স্বাস্থ্যদপ্তরের সিআইসি রামকৃষ্ণ পাল বলেন, বিভিন্ন কারণে মানুষ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইছেন। আমরা সর্বত্র ফোন করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার কথা বলছি। কিন্তু ক্যামেরা খারাপ থাকায় কোনও লাভ হচ্ছে না। অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষ নিজেদের টাকায় সিসি ক্যামেরা লাগাচ্ছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত পুরসভা সিসি ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষণ করত। পরে তা ওয়েবেল করবে বলে জানানো হয়। এরপর থেকে ওই রক্ষণাবেক্ষণ বন্ধ রয়েছে। ফলে সিংহভাগ সিসি ক্যামেরা অকেজো। পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক বলেন, বিভিন্নস্তরে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।