১৩ নভেম্বর বাংলার ৬ কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে বাংলায় এসে ফের রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে অমিত শাহর মন্তব্য, 'অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে শান্তি ফিরবে বাংলায়।'
রবিবার বনগাঁ সীমান্তে মৈত্রী দ্বার এবং আধুনিক যাত্রী টার্মিনালের উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। আর এই অনুষ্ঠানেই সীমান্ত অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হন তিনি। যদিও সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর রাজনৈতিক মন্তব্য করা নিয়ে ইতিমধ্যেই পাল্টা আসরে নেমেছে তৃণমূল।
এ দিন অমিত শাহ দাবি করেন, ইউপিএ জমানার থেকে মোদী সরকার বাংলাকে বেশি টাকা দিয়েছে। তিনি বলেন, 'ইউপিএ আমলের ১০ বছরে কেন্দ্র বাংলাকে দিয়েছিল ২ লাখ ৯ হাজার কোটি। কিন্তু ২০১৪ থেকে ২০২৪ এই ১০ বছরে মোদী সরকার বাংলাকে দিয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা।' নরেন্দ্র মোদী সরকারের দেওয়া টাকা 'দুর্নীতি'-তেই চলে যায় বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে যখন ৬ কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন দোরগোড়ায় সেই সময় অমিত শাহের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও অমিত শাহের মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূলও। রাজ্য শাসক দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব অমিত শাহের মন্ত্রকের। তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন তাতে ধরে নিতে হয় তাঁর দপ্তর ঠিকমতো কাজ করছে না।’
পাশাপাশি ইউপিএ জমানার সময়ের সঙ্গে মোদী জমানায় জিনিসপত্রের দামের পার্থক্য বিস্তর, এই দাবি করে জয়প্রকাশ বলেন, ‘কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য বকেয়া মেটাচ্ছে না। একাধিকবার এই নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মোদী সরকার বাংলাকে বঞ্চিতই রেখেছে।’