বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের জলে আবার প্লাবিত গোঘাট, দুর্ভোগে বাসিন্দারা
এই সময় | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়, গোঘাট: শিশু কোলে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মা। কিন্তু হু হু করে জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। ওই স্রোত পেরিয়ে হাসপাতাল যাওয়া অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে আর হাসপাতালে যাওয়া হলো না। এমনই দুর্ভোগে ছবি উঠে আসছে জলমগ্ন গোঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায়। দানার প্রভাবে শুক্রবারের পর শনিবারও দিনভর বৃষ্টিতে জলের তলায় বহু রাস্তা।শনিবার বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বৃষ্টির জল নেমে কংসাবতী খালে এসে পড়ে। সেই খাল উপচে গোঘাট ২ ব্লকের সাতবেড়িয়া, পাণ্ডুগ্রাম, পশ্চিম অমরপুর এবং তারাহাটের মাঠ-ঘাট ভাসিয়েছে। এমনকী সাতবেড়িয়ায় আরামবাগ-গড়বেতা রোডেও জল উঠে গিয়েছে। কংসাবতী থেকে গড়ানো জল আমোদর ও তারাজুলি খাল দিয়ে গিয়ে কামারপুকুরের বদনগঞ্জ রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। জলের স্রোতে বদনগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কামারপুকুরের বদনগঞ্জে জলের স্রোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী হেঁটেও মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। খুব দরকার পড়লে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন মানুষ। তাই কোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তেমনই মৌমিতা পান্ডা বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন ‘বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। কিন্তু জলের জন্য আটকে পড়েছি। যা স্রোত বইছে তাতে যাওয়া যাচ্ছে না।’
সেচ দপ্তরের কংসাবতী ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার কোতলপুর থেকে গোঘাটের দু’টি ব্লক পর্যন্ত কংসাবতীর বিস্তৃতি মোট ২৩.০৪২ কিমি। গোঘাট ২ ব্লকের বেঙ্গাই থেকে খালটির একটি শাখা সাতবেড়িয়া, পশ্চিম আমরপুর, মান্দারণ হয়ে দ্বারকেশ্বর নদে পড়েছে। অন্য একটি শাখার জল গোঘাট ১ ব্লকের রঘুবাটি, গোঘাট, কুমুড়শা এবং শ্যাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গিয়ে দ্বারকেশ্বর এবং শিলাবতীতে পড়ে।
কামারপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান রাজদীপ দে বলেন, ‘জল বাড়ছে। তবে প্রশাসনিক স্তরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। আমরাও প্রশাসনিক বৈঠক করে রিপোর্ট দিয়েছি। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।’