হাওড়ার মঙ্গলাহাটে পুনর্বাসনে তৈরি হবে টুইন টাওয়ার
এই সময় | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
হাওড়ার মঙ্গলা হাটের দোকানদারদের পুনর্বাসনের জন্য টুইন টাওয়ার মার্কেট তৈরি করবে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, হাওড়ার এক নম্বর কার্তিক দত্ত রোডে প্রায় আট বিঘা জমির উপর ১২তলা এই মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও হাওড়া ময়দান এলাকায় যাঁরা ফুটপাথে হকারি করেন, তাঁদেরও এখানে স্থানান্তরিত করা হবে। মার্কেট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ-কে।গত বছরের ২১শে জুলাই ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাওড়ার মঙ্গলা হাটের প্রায় আড়াই হাজারের বেশি দোকান। ঘটনার খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার। সেই মতো মঙ্গলা হাটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কার্তিক দত্ত রোডের একটি ফাঁকা জমিতে জোড়া মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের জন্য যে মার্কেট তৈরি হবে, তার সব খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। এখানে একই ছাদের তলায় ব্যবসা করতে পারবেন দোকানদাররা। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর জন্য আলাদা স্টল তৈরি হবে। প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত শৌচাগার এবং ২৪ ঘণ্টা পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। আধুনিক মানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও থাকবে।
মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজকুমার সাহা বলেন, ‘সরকার যদি মার্কেট তৈরি করে তাকে আমরা স্বাগত জানাব।’ হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন মার্কেট তৈরি হবে। এর জন্য যা খরচ হবে, তার সবটাই বহন করছে রাজ্য সরকার। সেখানে কারা জায়গা পাবে, তা খতিয়ে দেখার জন্য সমীক্ষা চলছে।’
দেশের প্রাচীনতম পোশাকের মার্কেট মঙ্গলা হাট চালু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। সেই সময়ে জমিটির মালিক ছিলেন পুলিনচন্দ্র দাঁ। তাঁদের কাছ থেকে ৫০ বছরের জন্য জমিটি লিজ নিয়েছিল একটি ব্যবসায়ী সংস্থা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকী ভিন রাজ্য থেকে খুচরো ব্যবসায়ী এবং বহু সাধারণ মানুষজন এখানে জামাকাপড় কিনতে আসেন। প্রতি মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। এখানে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজারের উপরে ব্যবসায়ী রয়েছেন।