দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তমলুকের ভান্ডারবেড়িয়ায়, ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে। গাড়িটি ঘাটাল থেকে দিঘার দিকে যাচ্ছিল। ভিতরে ছিলেন এক জন যুবক এবং এক জন মহিলা। যুবকই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ জাতীয় সড়কের উপর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রথমে তা অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা খায়। কিন্তু তার পরেও গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি চালক। পর পর তিনটি সাইকেলে ধাক্কা মারে ওই গাড়ি। সাইকেল আরোহীরা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তার পর ওই গাড়ি সামনে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তুবড়ে যায়। উল্টে পড়ে পাশের নয়ানজুলিতে। তমলুক থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তারা গাড়ি থেকে মহিলাকে কোনও রকমে বার করে। চালককে বার করতে বেশ বেগ পেতে হয়। পরে দু’জনকেই উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতেরা দু’জনেই ঘাটালের বাসিন্দা।
ওই গাড়ি যে সাইকেল আরোহীদের ধাক্কা মেরেছিল, তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জন সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত দুই সাইকেল আরোহীই তমলুকের ভান্ডারবেড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে, গাড়িটির ইঞ্জিন ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রত্যক্ষদর্শী ভোলানাথ ঘোষ বলেন, ‘‘গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসছিল। দিঘার দিকে যাচ্ছিল। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে ছিটকে যায়। তিনটি সাইকেলে ধাক্কা মারে গাড়িটি। আরোহীরা রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছিলেন। গাড়িটি গাছে ধাক্কা খেয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে। মহিলা এবং চালক গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।’’
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাইকেন আরোহী প্রশান্ত রায়, রাজেন্দ্র সামন্ত। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক ভাস্কর মোদক। ঘাটাল পুরসভার কোন্নগর কয়েততলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।