দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক মারা যান। মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমারকেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। যদিও তাঁকে ‘চার্জশিট’ দেওয়া হয়নি।
রেল সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময়ে ওই এলাকায় সিগন্যাল ব্যবস্থা বিগড়ে ছিল। সে সময় রাঙাপানি স্টেশন থেকে ‘পেপার মেমো’ দেওয়া হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ মোট ছ’টি ট্রেনের চালকদের। ‘সিআরএস’-এর তদন্তে সে ‘মেমো’ দেওয়ায় গোলমাল ধরা পড়ে। রেল সূত্রের খবর, ‘চার্জশিট’ দেওয়া মানেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়া নয়। এখন নতুন করে রেলের বিভাগীয় তদন্তে স্টেশন মাস্টারদের এবং গার্ডকে প্রশ্ন করা হবে। তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পরে দোষী সাব্যস্ত হলে, ‘মাইনর পেনাল্টি’র ক্ষেত্রে দু’বছর ১১ মাস পদোন্নতি বন্ধ থাকতে পারে এবং ‘মেজর পেনাল্টি’র ক্ষেত্রে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেল সূত্রের দাবি, মালগাড়ির গার্ডকে ‘মাইনর পেনাল্টি’ দেওয়া হয়েছে। রাঙাপানির তৎকালীন স্টেশন মাস্টার ইনচার্জ অংশুকুমার অমরেশ এবং দুই স্টেশন মাস্টার—সন্তোষ কুমার এবং নীরজ তিওয়ারিকে ‘মেজর পেনাল্টি’ দেওয়া হচ্ছে। ‘চার্জশিট’ এখনও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন অংশকুমার অমরেশ। বিকে শর্মা বলেন, ‘‘এ নিয়ে কিছু বলব না।’’
এ প্রসঙ্গে রেলকর্মীদের কোনও সংগঠন কথা বলতে চায়নি। সেফটি কমিশনারের পরামর্শ মেনে রাঙাপানি এলাকায় লাইন এবং সিগন্যাল ব্যবস্থায় রদবদল আনতে শুরু করেছে রেল।