প্রতি মাসের শেষ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান হয়। রেডিয়ো অনুষ্ঠানে দেশের মানুষের উদ্দেশে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির প্রচলন অনুযায়ী, মোদীর সেই অনুষ্ঠান সাংসদ বা বিধায়কেরা নিজ নিজ সাংবিধানিক কেন্দ্রে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বসে শোনেন। দলীয় কার্যালয়ে প্রতি মাসের শেষ রবিবার এ ভাবেই ‘মন কি বাত’-এর আসর বসে। শুভেন্দু সাধারণত নন্দীগ্রামে এবং সুকান্ত বালুরঘাটে থাকেন ‘মন কি বাত’-এর সময়ে। কিন্তু শনিবার রাতে শাহ কলকাতায় আসায় এবং রবিবার দলীয় কর্মসূচি থাকায় পরিস্থিতি ভিন্ন। শুভেন্দু, সুকান্ত দু’জনেই কলকাতায় রয়েছেন। তাই একসঙ্গে মোদীর অনুষ্ঠান শুনলেন রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষনেতা।
বিজেপির কেউ কেউ বলছেন, শাহ-সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরাবর বাংলায় রাজনৈতিক এবং পরিষদীয় দলের সদস্যদের একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন। রবিবার শুভেন্দু-সুকান্তের দুই মাথা এক হওয়ার মধ্যে সেই বার্তার ছোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। এর আগে লোকসভা ভোটের পর শুভেন্দু বিজেপির একটি বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বকে দূরত্বের বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি সংগঠনের কেউ নই।’’ এমনিতে সুকান্তের সঙ্গে তাঁর ‘দূরত্বের’ কথা বিজেপির অন্দরে অজানা নয়। তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল শুভেন্দুর সেই কথায়। সেই আবহে রবিবার সুকান্তের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বসেই শুভেন্দুর ‘মন কি বাত’ শোনার অন্য অর্থ খুঁজছেন কেউ কেউ।
শনিবার রাতে কলকাতায় এসেছেন শাহ। রবিবার বনগাঁয় পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ-এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। দুপুরে কলকাতার সল্টলেকে পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করার কথা তাঁর। এই কর্মসূচির জন্য দু’দিন আগেই শাহের কলকাতায় আসার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’ এবং তৎপরবর্তী আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিস্থিতির কারণে তিনি বঙ্গ সফর পিছিয়ে দিয়েছিলেন।
রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনার পর শুভেন্দু এবং সুকান্ত একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। জানান, আন্দোলনের শুরুটা ভাল হলেও শেষটা আশানুরূপ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা উচিত হয়নি ডাক্তারদের। আন্দোলনকে ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।