‘ফাটাকেষ্টর পুজো’ নামে খ্যাত নব যুবক সঙ্ঘ পুজো কমিটির সম্পাদক সুকৃতি দত্ত বলেন, ‘‘বৈঠকে নগরপালের সামনে আমরা ছোট পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার আবেদন করেছি। বিদ্যুতের বিলে ছাড় যাতে পাওয়া যায়, সেই আবেদনও করেছি।’’ এ বছরও দুর্গাপুজোর সময়ে গোটা রাজ্যে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কমিটিগুলির দাবি, দীপাবলিও বাঙালির প্রাণের উৎসব। গোটা রাজ্য আলোর উৎসবে মেতে থাকে। তা হলে ছোট কালীপুজো কমিটিগুলি কেন বিদ্যুতের বিলে ছাড় পাবে না? এই বক্তব্য তুমুল হাততালি দিয়ে সমর্থন করেন অন্য পুজো কমিটির কর্তারাও। কমিটিগুলির দাবি, বৈঠকে উপস্থিত কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা জানান, তিনি এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এ দিনের সমন্বয় বৈঠকে কলকাতার নগরপাল, উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা, থানার ওসিরা, এসিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকল, সিইএসসি, পুরসভার প্রতিনিধিরা। বাহিনীর সদস্য এবং পুজো কমিটির সদস্যদের আগের পুজোর ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলেন নগরপাল। সুপ্রিম কোর্ট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম যাতে কঠোর ভাবে মেনে সবুজ বাজি ফাটানো হয়, তা দেখতে বলেন নগরপাল। পুজো ও বাজির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টের নিয়ম মানার কথাও বলেন নগরপাল। দীপাবলি ও কালীপুজোয় অনলাইনে কেনাকাটা বাড়ে। এই সময়ে সাইবার প্রতারণা রোধে নজর দেওয়ার জন্য বলা হয় বৈঠকে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে সমাজমাধ্যমেও নজর রাখার কথা বলেন তিনি।