কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ১০ বছরে দেশের স্থলবন্দরগুলির প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসার পরিমাণ দেড় গুনের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।' অমিত শাহ বলেন, 'নতুন যাত্রী টার্মিনাল ২৫ হাজার যাত্রী সামলাতে পারবে। এর ফলে দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পর্যটন বাড়বে।'
ব্যবসার পাশাপাশি ভারত, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি দাবি করেন। অমিত শাহ বলেন, 'দেশে ২৩ টি আরও নতুন স্থলবন্দর তৈরি করা হবে। এতে প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। এর পাশাপাশি স্থলবন্দরগুলিতে ডিজিটাল ব্যবস্থা, সুরক্ষা বাড়ানো ও যাত্রীদের সমস্যা লাঘব করার উপর জোর দিচ্ছে সরকার।'
অনুপ্রবেশ নিয়ে এদিনও রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, 'অনুপ্রবেশ বন্ধ না হলে বাংলার প্রকৃত উন্নয়ন হবে না। আবাস, গ্রামীন সড়ক-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ইউপিএ সরকারের থেকে বর্তমান এনডিএ সরকার অনেক বেশি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে বলে অমিত শাহ দাবি করেন।' ১০০ দিনের টাকা প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, 'গত ১০ বছরে বাংলাকে কী দিয়েছেন মমতা? তৃণমূল তো কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছে। কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাকে ২.৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। মোদী সরকার বাংলাকে গত ১০ বছরে দিয়েছে ৭.৭৪ কোটি টাকা। কিন্তু মোদীর দেওয়া টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে যাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, কলকাতায় এসে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে শাহের বলে শোনা গিয়েছে! জানা গিয়েছে, সোদপুর পানিহাটির বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। তবে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না যে, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে শাহর সাক্ষাৎ হবেই। কলকাতায় শাহের যে ঠাসা সফরসূচি রয়েছে, সেখানে সময় বের করাটাই বড় ব্য়াপার হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সম্প্রতি শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে একটি ই-মেল পাঠানো হয়েছিল নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকে। শাহের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারাও। এখন দেখার, কী হয়! আপাতত অপেক্ষা।