খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর কাছে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন যায়। যেমন, শহরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অভয়ার পরিবারের সঙ্গে কি তিনি দেখা করবেন? এ প্রসঙ্গে সরাসরি আরজি কর প্রসঙ্গও ওঠে।
দিলীপ ঘোষ আরজি কর প্রসঙ্গ এবং এর সূত্রে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আসেন। যা বলেন, তা রীতিমতো বিস্ফোরক। দিলীপ বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ, তাঁরাই এবার অভয়ার দোষীদের শাস্তি নিয়ে দাবি জানাতে সংগঠন তৈরি করে রাস্তায় নেমেছেন! তিনি আরও বলেন, জাস্টিস চেয়ে ভিড়ে মিশে যাচ্ছে দোষীরা! তারা সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টিই করতে চাইছে না। আজ মমতা ব্যানার্জির সরকারেই তো এত কিছু ঘটনা ঘটছে, কিন্তু তাঁকে কেউ দোষী করছে না। বরং তাঁকে বাঁচাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে কোনও লাভ হবে না।
প্রশ্ন উঠছে, তাঁর অভিযোগের আঙুল কার দিকে? তা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? ঠিক কাদের এবং কী বলতে চাইছেন তিনি? দিলীপের বক্তব্য শুনে কী বলছেন ছাত্রনেতারা? তাঁদের এক প্রতিনিধি বলেন, সমস্ত শ্রেণির মানুষ এই গণ-আন্দোলনে সামিল। এই ভিড়ে যদি দু-এককজন দোষী মিশে থাকে, তো কিছু করার নেই। এই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য অনভিপ্রেত।
এ ছাড়াও আজ ইকো পার্কে দিলীপ ঘোষের সামনে আরও নানা প্রসঙ্গ ওঠে। বর্ষা হলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটে কলকাতায়, এই সূত্রে কলকাতা পুরসভার গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ওঠে শিক্ষকনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়ের প্রায় একশো কোটির উপরে সম্পত্তি ইডির বাজেয়াপ্ত করার ঘটনাও।