• শনিবার থেকে নিখোঁজ, কারখানায় লিফটের নিচ থেকে উদ্ধার DSP আধিকারিকের দেহ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • অবশেষে উদ্ধার হল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার । তিনি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আরএমএইচপি অপারেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। এদিন তাঁর দেহ উদ্ধার হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কারখানা চত্বরে। কীভাবে ওই আধিকারিকের মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। 


    কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই আধিকারিক। তারপর দেহ উদ্ধার হয়। যদিও কীভাবে ওই অধিকারিকের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এভাবে লিফটের বেসমেন্টে দেহ উদ্ধার নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আধিকারিকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তার রিপোর্ট পেলেই জেনারেল ম্যানেজারের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

    কারখানা সূত্রের খবর, এদিন কারখানায় রুটিন পরিদর্শনের বেরিয়ে ছিলেন এক আধিকারিক। সেই সময় তিনি জংশন ২৫ বাংকারের লিফটের নিচে সমিতকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি তিনি অন্যান্যদের খবর দেন। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তবে কীভাবে লিফটের নিচে কি করে জেনারেল ম্যানেজারের দেহ। তাই নিয়ে বাড়ছে রহস্য। 

    সিআইএসএফ, পুলিশ ও ডিএসপিও আলাদা আলাদাভাবে এর তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ওই আধিকারিকের দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কারখানার অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সমিতের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। তিনিও সেখানে পৌঁছন।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান জেনারেল ম্যানেজার। কারখানায় তাঁর ব্যাগ পত্র এবং খাবার থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সহকর্মীরা। কিন্তু, মোবাইল ফোনটি বেজে গেলেও সেটি কেউ ধরেনি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সমিতের খোঁজ না পাওয়ায় অবশেষে দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। সমিতের পরিবারের রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে। এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)