• সবুজ বাজির আড়ালে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি, শহর–জেলা–ভিনরাজ্যে পৌঁছে যাচ্ছে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সম্প্রতি বারুইপুরে সাদার্ন বাইপাস থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার জেরে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিষিদ্ধ বাজি চম্পাহাটির হারাল থেকে কিনে ব্যবসা করতে উস্তিতে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। পুলিশ প্রায় তিন হাজার শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করে তাদের কাছ থেকে। সুতরাং যতই পুলিশ অভিযান চালাক বা ধরপাকড় করুক নিষিদ্ধ শব্দবাজির উৎপাদন এবং বিক্রিতে রাশ টানা যায়নি। সামনে কালীপুজো এবং দীপাবলি। তার আগে এখন বাজার জুড়ে ছেয়ে গিয়েছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি—চকলেট বোমা, দোদমা, কালীপটকা–সহ আরও অনেক কিছু। সুতরাং কালীপুজো এবং দীপাবলির দিন কানে তালা লাগার আশঙ্কা থাকছে।

    নুঙ্গি এবং চম্পাহাটি এই নিষিদ্ধ শব্দবাজির আড়ত বলা যেতে পারে। তার মধ্যে হারাল বিখ্যাত নিষিদ্ধ শব্দবাজির উৎপাদনে। সামনে সাধারণ বাজি রাখা থাকে। পিছনে বিক্রি হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি। কালীপুজো আসছে বলে রাস্তার দু’ধারে প্রচুর অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। সেখানে কিন্তু নিষিদ্ধ শব্দবাজি মিলবে না। আলাদা করে কথা বলে বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই মিলবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এখানে ভিন্ রাজ্য থেকেও বেশি ক্রেতা আসেন নিষিদ্ধ শব্দবাজি কিনতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবুজ বাজি তৈরি করার অনুমতি পেয়েছেন ২২ জন বাজি প্রস্তুতকারক। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, শুধুমাত্র শংসাপত্রপ্রাপ্ত সবুজ বাজিই বিক্রি করা হচ্ছে।


    ব্যবসায়ী সমিতি এই কথা বললেও বাস্তব সেটা বলছে না। এখন কলকাতায় শব্দবাজি ফাটতে শুরু করেছে। যদিও কেউ এখনও ধরা পড়েনি। এইসব নিষিদ্ধ শব্দবাজি নুঙ্গি, চম্পাহাটি থেকেই এসেছে। দোকানে সবুজ বাজি রাখা হলেও আড়ালে দেদার নিষিদ্ধ শব্দবাজিও আছে। ক্রেতারা চাইলে সেসব বের করে দিচ্ছেন বিক্রেতা। এই বিপুল শব্দবাজি চম্পাহাটির হারালেই তৈরি হচ্ছে। সেখান থেকে হাত মারফত অন্যান্য জেলা এবং কলকাতায় চলে আসছে। সবুজ বাজি বিক্রি করে বাড়তি কড়ি লাভ করা যায় না। সেখানে নিজেদের তৈরি চকলেট, দোদমা বিক্রি করলে অনেকটা লাভ হয়। আর তাই নিষিদ্ধ বাজি তৈরির রমরমা বেড়েছে।

    কিন্তু এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বেশি কথা কেউ বলতে চাইছেন না। পুলিশের ভয় তাঁরা পেলেও তার মধ্যেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রিও চলছে। নামপ্রকাশে আনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ীর বক্তব্য, ‘একটা বড় অংশের ক্রেতা আছেন, যাঁরা অন্য বাজি কিনতে চান না। শুধু শব্দবাজিই কিনতে আসেন। আর বিহার, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড থেকে ক্রেতা আসেন শুধু শব্দবাজি কিনতে। ভিনরাজ্যের ক্রেতাকে বিক্রি করা তো বারণ নেই।’‌ চম্পাহাটি হারাল আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শঙ্কর মণ্ডলের কথায় ‘‌এখানে পাঁচশোর বেশি দোকান রয়েছে। শুধুমাত্র সবুজ বাজিই বিক্রি করেন তাঁরা। শব্দবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ।’‌ তবে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসের দাবি, ‘‌নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে আমরা লাগাতার অভিযান চালাচ্ছি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)