স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পাশের বাড়িতেই অভিযুক্তের বাড়ি। প্রতিবেশীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। আবার শিশুটিও অভিযুক্তের বাড়িতে যেত। শনিবারও অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েছিল সাত বছরের শিশুটি। সেখানেই তাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের দাবি, চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটির উপর নির্যাতন করেছেন মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি। শিশুর পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সাত বছরের মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান ওই প্রৌঢ়। তাকে চকোলেট খাওয়াবেন বলে ঘরে ডেকেছিলেন। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে ওই বাড়ি থেকে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটি ঘরে ফেরে। শিশুর মায়ের অভিযোগ, প্রতিবেশীর বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছে মেয়ে। তিনি অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করেন। ‘নিগৃহীত’ শিশুটির মাসি বলেন, ‘‘খাবারের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওকে হেনস্থা করেছে লোকটি। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’
ওই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যান স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। পুলিশ জানিয়েছে, পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে।