ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার, পুলিশের জালে মাস্টারমাইন্ড-সহ ৩
এই সময় | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
সমাজমাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে কখনও কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হতো। কখনও ফেলা হতো প্রেমের ফাঁদে। এ ভাবেই দিনের পর দিন রমরমিয়ে চলছিল নারী পাচার চক্র। হুগলি পুলিশের জালে নারী পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ তিন। ধৃতরা হলো মিজানুর মণ্ডল, শ্রীরাম রায় ও নন্দকিশোর কুমার। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, মিজানুর মণ্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। শ্রীরাম রায়ের বাড়ি কলকাতার তারতলার কাছে। নন্দকিশোর কুমারের বাড়ি বিহারের চম্পারণে। তিনজনে মিলে দীর্ঘদিন ধরে সমাজমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নারী পাচার চালাতো।
গত ৯ জুলাই তারকেশ্বর এলাকা থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। গত ১৩ জুলাই তারকেশ্বর থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকার পরিবার। এরপরেই তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করা হয় গত ১৯ জুলাই। নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে তাঁর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয় এক যুবকের। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে।
হুগলির পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে তারকেশ্বর, সেখান থেকে বিহারে নিয়ে যায় ওই যুবক। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই যুবকেরই নাম মিনাজুর রহমান। ঘটনার তদন্ত নেমে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তের গতি বাড়িয়ে অবশেষে নারী পাচার চক্রের একের পর এক যোগসূত্র খুঁজে পায় পুলিশ। শুধুমাত্র প্রেমের ফাঁদ নয়, কাজের টোপ দিয়েও মহিলা ও নাবালিকাদের এ রাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যের যৌনপল্লীতে পাচার করা হতো। গত শুক্রবার মিজানুর মণ্ডল ও শ্রীরাম রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার এই চক্রের আরও এক সদস্য নন্দকিশোর কুমারকে নদিয়া জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।