স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন মোশারফ পিয়াদা ও তাঁর স্ত্রী শাহানারা বিবি। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকার বাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। আজ, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। রক্তের দাগ ছিল বাড়ির সামনের রাস্তাতেও!
এদিকে শনিবার রাতে মোবাইলে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল ওই দম্পতির। বিবাহিতা ওই যুবতীর দাবি, বাবা-মায়ের ঝগড়াঝাঁটি হয়নি, কোনও গন্ডগোলই ছিল না। অভিযোগ, 'আমার বাবাকে কুপিয়ে মাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে কেউ। বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি ভাঙা হয়েছে। ওদের খুন করা হয়েছে'। কিন্তু কে এমন কাণ্ড ঘটাল? কাকে সন্দেহ করেন? সেবিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি তিনি। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। বাড়ি কাছাকাছি রয়েছে দুটি সিসিটিভি। সেখান থেকে কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, ভাঙড়ে নৃশংসভাবে খুন জব্বার মোল্লা নামে এক প্রৌঢ়। শাকশহর এলাকায় চায়ের দোকান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর গলাকাটা দেহ। স্থানীয় সূত্রের খবর, যে দোকানে দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই দোকানটি জব্বারেই। রোজই দোকান খুলতেন তিনি। রাতে দোকানেই ঘুমাতেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দোকান খুলতে দেখা যায়নি ওই প্রৌঢ়কে। এরপর ছেলে যখন অন্য একটি চাবি দিয়ে দোকানে দোকান খোলেন, তখনই বাবার গলাকাটা দেহ পড়তে থাকতে দেখেন।