• সপ্তাহভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস, কালীপুজোর পরেই হিমেল হাওয়া
    এই সময় | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়: ল্যান্ডফলের তিন ঘণ্টার মধ্যেই 'ঘূর্ণিঝড়' তকমা খুইয়ে প্রথমে 'গভীর নিম্নচাপ' এবং পরে 'নিম্নচাপ'-এ পরিণত হয় দানা। তবে তার সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেলেও ঘূর্ণিঝড়ের 'ফেলে যাওয়া' বিক্ষিপ্ত মেঘপুঞ্জ এখনও ঘুরছে ওডিশা ও দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। নতুন করে ভারী বৃষ্টি নামানোর মতো কোনও ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত দেখছেন না আবহবিদরা। তবে 'পড়ে থাকা' ওই মেঘপুঞ্জ এই সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখছে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।

    'দানা'-র প্রভাবে কতটা ক্ষতির মুখে পড়বে কলকাতা এবং বাংলা — সে প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট হওয়ার পরেই বাংলার মনে উদয় হয়েছে দ্বিতীয় প্রশ্ন— নতুন করে আর বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আছে? জবাবে আলিপুপ হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত একেবারে না-থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বিচ্ছিন্ন এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর দিনেও দক্ষিণবঙ্গ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পেতে পারে। রবিবার দুপুরে মৌসম ভবন যে উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে তাতে অবশ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে মেঘের লেশমাত্র দেখা যাচ্ছে না। ইনস্যাটের থ্রি-ডি ইমেজারিতে মেঘশূন্য সমুদ্র একেবারে সদ্য কেনা স্লেটের মতোই ঝকঝকে কালো।

    তবে দেশের একেবারে অন্য প্রান্তে ছবিটা বেশ অন্য রকম। উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে ইতিমধ্যেই মেঘ জমতে শুরু করেছে বলে দেখা যাচ্ছে উপগ্রহের ছবিতে। ওই মেঘই হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে মরশুমের প্রথম 'পশ্চিমী ঝঞ্ঝা'-র কারণ হতে চলেছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহ থেকেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে মধ্য এশিয়া থেকে আসা শুকনো এবং ঠান্ডা বাতাসের স্রোত ঢুকতে শুরু করবে। পূর্বাভাস মিলে গেলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রথমে উত্তর এবং পরে উত্তর-পূর্ব ভারতের আবহাওয়ায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। শুকনো ও হিমেল বাতাস চামড়ায় টান ধরানোর পাশাপাশি গা শিরশির করা অনুভূতিও জাগাবে।
  • Link to this news (এই সময়)