এই সময়, তমলুক: বেপরোয়া গতির বলি হলেন এক মহিলা-সহ ৪ জন। আহত আরও এক। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের নিমতৌড়ির ভান্ডারবেড়িয়ার কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গতি এতটাই বেশি ছিল যে, তীব্র বেগে গাছে ধাক্কা মারার পর গাড়ি থেকে ইঞ্জিন ছিটকে বেরিয়ে আসে। তীব্র গতির গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে তিন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে।এর পরে গাছে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ও মৃতদের উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। এ দিন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী রাজেন্দ্র সামন্ত ও প্রশান্ত রায়ের। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গাড়ির যাত্রী ভাস্কর মোদক (২৬) ও তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ভাস্করের গাড়িতে থাকা মোবাইল থেকে কল করে তাঁর পরিবারকে খবর দেয় তমলুক থানার পুলিশ। তবে ওই মহিলার পরিচয় জানতে পারেননি তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় লটারির টিকিট বিক্রেতা ভাস্করের বাড়ি ঘাটাল পুরসভার কোন্নগর এলাকায়। গাড়িটি তাঁর নিজের। ফোন পেয়ে ভাস্করের পরিবারের সদস্যরা রাতেই তমলুক হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। পরিবার সূত্রে খবর, ভাস্কর দিঘা যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়েছিলেন। তবে গাড়িতে থাকা ওই মহিলা কে, তা জানেন না তাঁরা।
গাড়িটি মেচেদার দিক থেকে দিঘার দিকে যাচ্ছিল বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, তরুণীকে নিয়ে দিঘা যাচ্ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন ভাস্কর। তমলুকের এসডিপিও আফজল আবরার বলেন, ‘তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।’