• কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন, বহু বস্তি পুড়ে ছাই, দীপাবলির মুখে রাস্তায় ওঁরা
    আজ তক | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • Prince Anwar Shah Road Fire: সাতসকালে ফের অগ্নিকাণ্ড। সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের এক বসতি এলাকায় আগুন লাগে। আগুনের ফলে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক যুবকের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে আরও সমস্যা হচ্ছিল বলেও জানান আধিকারিকরা। আপাতত স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাঁদের অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন। 

    দমকল সূত্রে খবর, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বস্তিতে আগুন লাগে। এই এলাকাটা বেশ ঘিঞ্জি। ফলে আগুন দ্রুত আশপাশের ঝুপড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাছাড়া আগুনেক কাছে পৌঁছাতেও সময় লাগছিল। বেগ পেতে হচ্ছিল দমকল কর্মীদের। প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় দমকল কর্মীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে, কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকল বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

    এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন। তাঁদের দাবি ঘটনাস্থলে দমকলবাহিনী অনেক দেরিতে এসেছে। গল্ফ গ্রিন না চারু মার্কেট—এমনকি ঘটনাস্থল কোন থানার আওতাধীন হবে তাই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলেছে বলে দাবি তাঁদের। যদিও দমকলবাহিনীর পাঁচটি ইঞ্জিন ও দমকলকর্মীদের তৎপরতায় আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগেই এদিন রুখে দেওয়া গিয়েছে। এমন ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। আর সেই অসাধ্য সাধন করেন তাঁরা। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল যদি আগে পৌঁছাতো, তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমানো যেত।
    প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। প্রাণ হারান এক রোগী। দেখুন সেই ঘটনার ভিডিও প্রতিবেদন:
     
  • Link to this news (আজ তক)