বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবন চত্বরে ৭ স্টলে খোলা হল ‘সবুজ বাজি বাজার’
বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: রবীন্দ্র ভবনের বাইরে বাঁকুড়া শহরের কোনও দোকানে বাজি বিক্রি করা যাবে না। রবীন্দ্র ভবন চত্বরে ‘সবুজ বাজি বাজার’ খোলা হয়েছে। পুলিসি নজরদারিতে সেখানে ইতিমধ্যেই সাতটি স্টলে বাজি বিক্রি শুরু হয়েছে। ফলে শহরের অন্যত্র কেউ বাজি বিক্রি করলে তা বেআইনি বলে গণ্য করা হবে বলে জেলা পুলিসের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিস আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন।
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, বাজি বিক্রির জন্য ইচ্ছুক ব্যবসায়ীরা পুলিস-প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। আবেদন খতিয়ে দেখে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়া হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের রবীন্দ্র ভবন চত্বরে ঘেরা জায়গায় বাজি (গ্রিন ক্র্যাকার্স) বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার বাইরে শহরের যে কোনও জায়গায় বাজি বিক্রি নজরে পড়লে বা অভিযোগ পেলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। বেআইনিভাবে কেউ তা বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট বাজি আটক ও বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো বাঁকুড়াতেও শব্জবাজির দাপট রয়েছে। মহালয়া ও দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাজি ফেটেছে। দীপাবলিতেও জেলায় বাজি ফাটে। তবে আলোর উৎসবে আতশবাজি বেশি পোড়ানো হয়। আগে দূষণসৃষ্টিকারী আতশবাজি বেশি বিক্রি হতো। মাঝে জাতীয় পরিবেশ আদালত ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে শব্দ ও মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষণ সৃষ্টি করে, এমন বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় পুলিস ও প্রশাসনের নজরদারির আওতায় বাজি বাজার চালু হয়। বেআইনি বাজি মজুত ও বিক্রির বিরুদ্ধে পুলিস কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। গত বছরও পুজোর মরশুমে বাঁকুড়া শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুলিস বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করে। এবারও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাজি বিক্রি রেয়াত করা হবে না বলে পুলিস আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও জেলার যত্রতত্র বাজি বিক্রি বন্ধ হয় কি না সেটাই এখন দেখার। বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে বসেছে সবুজ আতশবাজির বাজার। -নিজস্ব চিত্র