সংবাদদাতা, সিউড়ি: দুবরাজপুরের অগ্রদূত সঙ্ঘের কালীপুজোয় এবার থিম ‘এক টুকরো রাজস্থান’। পুজোর মণ্ডপকে রাজস্থানের একটি রাজবাড়ির আদলে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। কালীপুজোর আগে হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। দুর্যোগ কাটিয়ে এবার জোরকদমে শেষ মুহূর্তের মণ্ডপসজ্জার কাজ চলছে।
শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এবার অগ্রদূত সঙ্ঘের কালীপুজো ৬১বছরে পা দিল। এবার তাদের পুজোর বাজেট প্রায় ন’লক্ষ টাকা। মণ্ডপের বাইরে ও ভিতরে সর্বত্রই রাজস্থানের রাজবাড়ির আদলে সাজানো হচ্ছে। রাবার, ফোম, কাচ, বাঁশ, কাগজ ইত্যাদি দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। পুজো কমিটির দাবি, বাইরে থেকে ঢুকলেই সাধারণ মানুষের মনে হবে রাজস্থানের কোনও রাজবাড়িতে প্রবেশ করেছেন। চারদিকে ফাইবার ও কাচ দিয়ে বিভিন্ন কারুকার্য করা হচ্ছে। মণ্ডপের ছাদে বিভিন্ন নকশা করা হচ্ছে। থাকবে রাজবাড়ির আদলে সুন্দর চূড়া। মণ্ডপসজ্জাতেই প্রায় চার লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। মণ্ডপের ঠিক বাইরেই একটি মানবস্ট্যাচু থাকবে। বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত স্ট্যাচুশিল্পী বিনোদ রায় থাকবেন। পুজোর চারদিন নানা রূপে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়াবেন তিনি। সাবেকি প্রতিমার আরাধনা হবে। আলোকসজ্জাতেও চমক থাকবে। প্রতিবারের মতো এবারও তন্ত্রমতেই পুজো করা হবে।
পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর দিন সকালে বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এলাকার প্রায় আড়াইশোজন প্রতিযোগী। এছাড়া পুজো উপলক্ষ্যে এলাকার প্রায় ৫০জনেরও বেশি দুঃস্থ মানুষকে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হবে। পুজোর কয়েকদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় মণ্ডপে। অগ্রদূত সঙ্ঘের পুজো কমিটির সভাপতি মলয় দাস বৈষ্ণব, যুগ্ম সম্পাদক খোকন গঙ্গোপাধ্যায় ও দেবাশিস দাস বৈষ্ণব বলেন, শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে আমাদের ক্লাব অন্যতম। রাজস্থানের রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। আশা করি দর্শনার্থীদের ভালো লাগবে। প্রতিবারের মতো এবারও তন্ত্রমতেই মায়ের পুজো হবে। দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় এখন জোরকদমে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।