• দুর্গাপুর দয়ানন্দ কালচারাল সোসাইটির কালীপুজোর থিম এক টুকরো মিশর
    বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • সাংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর দয়ানন্দ কালচারাল সোসাইটির এবারের কালীপুজোর থিম ‘এক টুকরো মিশর’। পিরামিডের অনুকরণে তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ। ভিতরে থাকছে মিশরীয় সভ্যতার মমি। চলতি বছরে দয়ানন্দ কালচারাল সোসাইটির পুজো ৬১তম বর্ষে পদার্পণ করছে। প্রায় প্রতিবছরই তাদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের নজরকাড়ে। পাশাপাশি পুজো কমিটি দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে গণভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পুজো কমিটির সম্পাদক স্নেহাশিস বসাক বলেন, পুজো মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট ও দৈর্ঘ ১১০ ফুট করা হচ্ছে। মণ্ডপ তৈরি করতে কাপড়, ফোম, কাঠের গুড়ো ও প্লাস্টার অব প্যারিস ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ডেকরেটর মণ্ডপ গড়ছেন মেদিনীপুরের শিল্পীদের নিয়ে। পিরামিডের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মণ্ডপের অন্দরমহলে থাকছে মমি। কালী প্রতিমার মধ্যেও থাকছে চমক। দুর্গাপুরের প্রতিমা শিল্পী বিজন পাল প্রতিমা গড়ছেন। মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা সহ আধুনিক আলোকসজ্জাও দর্শনার্থীদের নজরকাড়বে। পুজো কমিটির সভাপতি রাজীব ঘোষ বলেন, পুজোর তিন দিন সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এলাকার মহিলা তথা ক্লাবের সদস্যারা পুজোর উদ্বোধনের দিন নিজেরাই সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। তাঁরা সারাবছর সোসাইটিতে এলাকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে নৃত্য ও সঙ্গীত চর্চা করে থাকেন। গত দু’বছর ধরে আমরা এলাকার দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে গণভাইফোঁটা করে আসছি। প্রায় ৫০ জনকে আমাদের সোসাইটির সদস্যারা ভাইফোঁটা দেবেন। পাশাপাশি তাদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও এলাকার প্রায় ১২০০ মানুষের জন্য পোলাও সহ নানান পদের রান্না করা হয়ে থাকে। এই বারের পুজোর বাজেট প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। পুজোর পাশাপাশি সারাবছর আমরা নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা সহ সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকি। এলাকার মানুষের আপদে-বিপদে আমরা পাশে থেকে সহযোগিতা করি। স্বাস্থ্যশিবির ও রক্তদান শিবির করা হয়। ফুটবল নিয়ে নাইট টুর্নামেন্ট হয় বড় আকারে হয়। এছাড়াও দুর্গাপুরব্যাপী অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবারে আমাদের কালীপুজোর থিম প্রতিবছরের মতো দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে আশাবাদী।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)