সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: পুজোর পাশাপাশি ধূপগুড়ির এসটিএস ক্লাবের সাহিত্য পত্রিকা ‘অর্জুন’ সাহিত্য জগতে নজর কেড়েছে। একটা সময় ক্লাবের মুখপাত্র থাকলেও এখন পত্রিকাটি হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের শিল্প সংস্কৃতি চর্চার এক অন্যতম নিদর্শন। এছাড়াও এই সাহিত্য পত্রিকাটি নতুন প্রজন্মের সাহিত্যচর্চার একটি দিক খুলে দিয়েছে। ধূপগুড়ির এসটিএস ক্লাবের এই বছর ৫৫তম বর্ষের শ্যামাপুজো। আর এই শ্যামাপুজোয় মায়ানমারের গোল্ডেন টেম্পলের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।
এতদিন স্বর্ণমন্দির বলতে পঞ্জাবের কথাই সবচেয়ে প্রথমে মনে আসত। তবে স্বর্ণমন্দির বা গোল্ডেন টেম্পল প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারেও রয়েছে। আর সেই মন্দিরই এবার দর্শনার্থীরা ধূপগুড়ির এসটিএস ক্লাবের পুজোয় দেখতে পাবেন। এছাড়াও প্রতিবছরের মতো এবারও এসটিএস ক্লাব প্রতিমায় চমক এনেছে। পূর্ব মেদনীপুর থেকে নামজাদা শিল্পীদের নিয়ে এসে প্রায় ১৭ ফিট লম্বা ‘কৃষ্ণরূপে কালী প্রতিমা’ তৈরির কাজ শেষের দিকে। সাদা অ্যালুমিনিয়াম সিট দিয়ে তৈরি এই কৃষ্ণরূপে কালী দর্শকদের মনে দাগ কাটবে বলে আশাবাদী ক্লাব সদস্যরা। এছাড়াও স্থানীয় আলোকশিল্পী অনিল সেন অসংখ্য মেকানিক্যাল আলোর তোরণ বানিয়েছেন। যা অমাবস্যার গাঢ় অন্ধকারে দূর থেকে জ্বলজ্বল করবে। ৭ জুলাই খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে এসটিএস ক্লাবের পুজোর কাজ শুরু হয়। এখন সেই কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছে পথচলিত মানুষ।
ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুশীল বৈদ্যের সম্পাদনায় ‘অর্জুন’ পত্রিকা সাহিত্য জগতে নজির গড়ে তুলেছে। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাব সদস্য তথা উঠতি কবি অভিজিৎ দাশগুপ্তের অকাল প্রয়াণকে স্মরণ করেই এই পত্রিকার নাম রাখা হয়েছে ‘অর্জুন’। এই বছর ৪৫তম সংখ্যা বের হবে। প্রতিবছর এই পত্রিকায় লেখার জন্য উঠতি প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের সাড়া পাওয়া যায়। পত্রিকার সম্পাদক তথা ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুশীল বৈদ্য বলেন, ‘অর্জুন’ প্রথমে ক্লাবের মুখপাত্র থাকলেও কালক্রমে আমরা সাহিত্য ম্যাগাজিনের রূপ দিতে পেয়েছি।
ক্লাব সভাপতি বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী ও সম্পাদক রাজেশকুমার সিং বলেন, পুজোয় নিরাপত্তার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র সহ অসংখ্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য থাকবেন ক্লাবের নিজস্ব ভলান্টিয়ার। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ধনতেরসের দিন পুজোর উদ্বোধন।