সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: গোটা বিশ্ব সবুজ করে তুলতে হবে। তাই সবুজায়নের বার্তাই কালীপুজোয় তুলে ধরতে চলেছে ময়নাগুড়ির মুনলাইট ক্লাব। এবছর এদের থিম ‘ফিরিয়ে দাও অরণ্য’। ক্লাবের সামনেই চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। অরণ্য ধ্বংসের কারণে সমাজে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে সেটাই পুজো উদ্যোক্তারা তুলে ধরতে চাইছেন তাঁদের পুজো মণ্ডপের মধ্যে দিয়ে। ফোম, প্লাস্টার অব প্যারিস, বাঁশ সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপসজ্জা করা হচ্ছে। আগামী ৩০ অক্টোবর, বুধবার দর্শনার্থীদের জন্য পুজোর মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। উদ্বোধন করবেন সমাজের দুঃস্থ শ্রেণির কিছু মানুষ। ক্লাবের পক্ষ থেকে সেই দুঃস্থ লোকজনের পাশে দাঁড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এবছর মুনলাই ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। বিগত বেশকয়েক বছর ধরে ময়নাগুড়িতে বিগ বাজেটের কালীপুজোর আয়োজন করে আসছে এই ক্লাব। তাই প্রতিবছরই দর্শনার্থীদের ভিড় আছড়ে পড়ে পুজো প্রাঙ্গণে। তবে অন্য বছরগুলির তুলনায় এবছর তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের আরও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
মুনলাইট ক্লাবে এলে দেখা যাবে মণ্ডপজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ। পাশাপাশি ময়ূর, হাতি সহ বিভিন্ন বন্যজন্তুর ছবি। দেখা যাবে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি, পাখি। গভীর জঙ্গলের মধ্যে থাকবে মাকালী।
পুজো কমিটির সভাপতি অনুপ পাল বলেন, যেমন করেই হোক সবুজকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই আমাদের বার্তা। চারিদিকে বনজঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের কর্তব্য বেশি বেশি করে বৃক্ষ রোপণ। অরণ্য ধ্বংস হলে পৃথিবীতে তার কি প্রভাব পড়বে সেটা আমরা দর্শনার্থীদের দেখানোর চেষ্টা করব। পাশাপাশি মানুষ, বন্যজন্তুর মধ্যেও যে প্রভাব পড়তে পারে সেটাও এখানে এলে দেখা যাবে। বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার কারণে জঙ্গল থেকে পশু-পাখি লোকালয়ে চলে আসছে।
মুনলাইট ক্লাবের এবারে পুজো কমিটির সহ সভাপতি বিমান রায় চৌধুরী। সম্পাদক বাবলু ঘোষ, সহ সম্পাদক অংশুমান রায়। কোষাধ্যক্ষ সৈকত চক্রবর্তী। স্থানীয় শিল্পী মণ্ডপ তৈরি করছেন। আলোকসজ্জায় রয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পী। মূর্তি তৈরি করছেন ময়নাগুড়ির শিল্পী। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য মেনে বাজবে সাউন্ড সিস্টেম। নিজস্ব চিত্র।