বাতিল হওয়ার একবছর পরও অনায়াসে বদলে নেওয়া যাচ্ছে ২০০০ টাকার নোট
বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
রাহুল চক্রবর্তী, কলকাতা: দেবেন ২০০০ টাকার কারেন্সি নোট। পাবেন সর্বাধিক ১৯০০ টাকা। নোটের চেহারা খারাপ থাকলে কাটা যাবে ১০০, ১২০, ১৫০ কিংবা ২০০ টাকা। খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তা থেকে উঠে এল এই তথ্য।
২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাতিল করে দিয়েছিলেন তৎকালীন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। তারপর চালু করা হয় ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু সেই নোট নিয়ে আমজনতা প্রবল সমস্যায় পড়েন। দোকান, হাট, বাজারে তা ভাঙাতে গিয়ে প্রবল অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল মানুষকে। এত বড় অঙ্কের নোট পাড়ার দোকানদাররা নিতে রাজি না। এই অবস্থায় ২০১৮-’১৯ সাল থেকে দু’হাজার ছাপানো বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। আর ২০২৩ সালের ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঘোষণা করে, ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে। অর্থাৎ মাত্র সাড়ে ছ’বছর চালু ছিল দু’হাজার। এরপর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এবং তারপর ফের মেয়াদ বাড়িয়ে আট অক্টোবর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বদল করার সময়সীমা দেওয়া হয়। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তথ্য বলছে, ৯৭ শতাংশেরও বেশি নোট ফেরত এসেছে। কিন্তু বাজারে রয়ে গিয়েছে সাত হাজার ২৬১ কোটি টাকার দু’হাজারের নোট। ২০০০ টাকা নিয়ে খোঁজখবর করতেই দেখা গিয়েছে, এখনও ২০০০ টাকার নোট বদল বা ভাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডালহৌসি চত্বর, কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে টুল পেতে বসে আছেন বহু ‘নোট বদলকারি’। তাঁরা এখনও ২০০০ টাকার নোট নিচ্ছেন এবং বদলও করে দিচ্ছেন। শ্যামল জানা নামে এক বদলকারির বক্তব্য, ২০০০ টাকার নোট কেউ দিলে ১২০ টাকা কেটে বাকিটা ফেরত হয়। সঞ্জয় সরকার নামে আরও এক বদলকারির বক্তব্য, মাঝেমধ্যে কেউ ২০০০ টাকার নোট নিয়ে আসছেন। তার চেহারা দেখে ১০০ বা ১৫০ টাকা বাদ রেখে বাকিটা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এমনকী এ ছবিও দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন বদলকারি হাতের বান্ডিলে ২০০০ টাকার গোলাপি রঙের নোট রয়েছে। এই নোট তাঁরা ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করেন বলে জানালেন। আরও কতদিন এই টাকা ভাঙানো যাবে। উত্তরে এক বদলকারীর বক্তব্য, দেখা যাক! সাধারণ মানুষ কতদিন আসেন। -নিজস্ব চিত্র