• চন্দননগরে উৎসবের মরশুমে আগুন নেভাতে দমকলের ভরসা ‘বুলেট’
    বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: জগদ্ধাত্রী পুজো আসছে। উৎসবের এই মরশুমে চন্দননগরকে নিরাপদ রাখতে এবার ‘বুলেট সতর্কতা’ অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের। গতি এবং যে কোনও জায়গায় যেতে পারার ক্ষমতা—দুই শক্তিতে বলীয়ান দমকলের বুলেট অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি। সেই বিশেষ গাড়িই এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় মোতায়েন করবে দমকল। কমপক্ষে আটটি বুলেট গাড়ি আগুন সামাল দিতে প্রস্তুত থাকবে সাবেক ফরাসি কলোনির উৎসবে। সম্প্রতি পুজো নিয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। সেখানেই প্রথমবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ওই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘বুলেট নিরাপত্তা’ মোতায়েনের কথা জানায় দমকল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে পুজোর উদ্যোক্তাদের মহলেও জেগেছে কৌতূহল। 


    ঠিক কেমন এই বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ যান? দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি আদতে বিশেষ একটি সংস্থার বুলেট নামের বাইক। কিন্তু শুধু সংস্থার দেওয়া নাম নয়, দমকল মহলে এই বিশেষ যানটি বুলেট নামেই পরিচিত। কারণ, তার তৎপরতা বা গতি। বাইকের সঙ্গে দু’টি বিশেষ সিলিন্ডার রাখা থাকে। তাতে থাকে আগুন নেভানোর জন্য জল ও ফোম। একটি ছোট বাতাস ভর্তি সিলিন্ডারের মাধ্যমে তা কাজ করে। মূল দু’টি সিলিন্ডারে দশ লিটার করে মিশ্রণ থাকে। আর থাকে বিশেষ রকমের পাইপ। বাইকে থাকে একটি আগুন নেভানোর গ্যাস সিলিন্ডারও। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আরও একটি নতুন ‘বুলেট যান’ আনা হয়েছে। তাতে আগুন প্রতিরোধী উপাদান অনেক দূর পর্যন্ত  ছড়িয়ে দিতে বিশেষ পাম্প ও বাড়তি পাইপ রয়েছে। চন্দননগর দমকল বিভাগের ওসি বলদেব সাঁতরা বলেন, ‘চন্দননগরের ছোট্ট পরিসরে প্রায় ১৫০টি পুজো হয়। ভদ্রেশ্বর ও অন্য কয়েকটি এলাকা মিলিয়ে পুজোর সংখ্যা ১৭৭। প্রাচীন শহর হওয়ায় অনেক জায়গায় দমকলের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। তাছাড়া, জগদ্ধাত্রী পুজোর মরশুমে ভিড়ও থাকে। তাই বুলেট যান বিশেষ কার্যকরী হবে। ওই যানগুলি এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শহরের নির্দিষ্ট জায়গায় প্রাথমিকভাবে আটটি গাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনা হয়েছে।’ চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘দমকলের বুলেট অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার কথা আমরা শুনেছি। কর্তারা যেমন বর্ণনা করেছেন, তাতে বিষয়টি যেমন অভিনব, তেমনই আমাদের শহরের জন্য কার্যকরী হবে বলে মনে হচ্ছে।’ 


    ২০১৯ সালে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় মণ্ডপে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ভিড় ঠেলে অপরিসর রাস্তায় দমকলের বড় গাড়ি নিয়ে যেতে কালঘাম ছুটেছিল অফিসারদের। দমকলের এক অফিসার বলেন, ‘কোথাও আগুন যাতে না লাগে, সেদিকেই আমাদের নজর থাকবে। কিন্তু যদি প্রয়োজন হয়, বুলেট নিয়ে পৌঁছে 
  • Link to this news (বর্তমান)