• চাহিদা বাড়ছে, দুর্যোগের মুখে সমস্যায় মাটির প্রদীপের ব্যবসা
    বর্তমান | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: আগে কালীপুজোয় মাটির প্রদীপের প্রচুর চাহিদা ছিল। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকেই সেই চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে। মূলত চীনা ও এলইডির আলোর কারণে মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে যায়। যদিও গত তিন বছরে আবারও নতুন করে মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। তবে এখন কুমোরপাড়ার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। দুর্যোগের কারণে মাটির প্রদীপের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। খাটনি বাড়লেও কমে গিয়েছে লাভের পরিমাণ। ফলে অনেক মৃৎশিল্পী এই ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছেন।


    এবিষয়ে কাকদ্বীপের বড়পাড়া রাজনগরের এক মৃৎশিল্পী গৌরহরি পাল বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে আমাদের পরিবার মাটির প্রদীপ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে। অতীতে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা ছিল। এখন বিভিন্ন ধাতুর ও প্লাস্টিকের পণ্য বাজারে চলে আসায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। কালীপুজো উপলক্ষ্যে মাটির প্রদীপও একসময় প্রচুর বিক্রি হতো। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে প্রদীপের চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে সৌভাগ্যের বিষয় হল, গত তিন বছর এই চাহিদা ফের কিছুটা বেড়েছে। এবার দীপাবলিতে প্রায় ১২ হাজার প্রদীপ তৈরি করার অর্ডার পড়েছে। কিন্তু কীভাবে এই চাহিদা মেটানো হবে, তা নিয়ে পরিবারের সবাই চিন্তায় রয়েছি। আর কয়েকদিন পরেই কালীপুজো। কিন্তু তার আগে চারদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই প্রদীপ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এখন প্রায় প্রতিবছরই বেশ কয়েকবার এলাকাবাসীকে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। তখন তৈরি করা মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্রও বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই পরিশ্রম বাড়ছে, কিন্তু লাভের পরিমাণ কমেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)