বছর খানেক আগে দল সাসপেন্ড করেছিল। তার পর রাজনীতিতে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে তৃণমূলে যোগদান করলেন পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শ্যামল রায়। আর শাসকদলে যোগদান করে তাঁর দাবি, ‘বিজেপি ভরে গেছে লাল হার্মাদে’।
বিজেপির অন্দরে দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন শ্যামল। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরতেই কমতে থাকে তাঁর প্রতিপত্তি। অবশেষে চলতি বছরের শুরুতে তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। তার পর থেকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার বর্ধমান লোক সংস্কৃতি মঞ্চে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে দেখা যায় শ্যামলকে। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। সঙ্গে দলবদল করেন তাঁর অনুগামীরাও।
দলবদল করেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন শ্যামলবাবু। বলেন, ‘এখন বিজেপি লাল হার্মাদে ভরে গেছে। তারাই দলটা চালাচ্ছে। দলের সঙ্গে মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই। আমাকে সাসপেন্ড করার পরেও দলের হয়ে লাগাতার কাজ করে গেছি। দিলীপদাকে ভালোবাসি। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর জয় শ্রী রাম ধ্বনী দিয়ে আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছিল লাল হার্মাদরা। তার পরেও দল ছাড়িনি। কিন্তু রাজ্যে বিজেপির আর কোনও সম্ভাবনা দেখি না।’
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘শ্যামল সক্রিয় ছেলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাথী হতে ও তৃণমূলের হাত ধরেছে। এতে দল উপকৃত হবে।’
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দলবিরোধী কাজের জন্য ওকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তার পর সে কোথায় গেল তাতে দলের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।
বলে রাখি, গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান - দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন তিনি।