আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল ‘ছাত্র সমাজ’ নামে একটি মঞ্চ। সেই অভিযানে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও, বাইরে থেকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি। সেই মিছিলে আন্দোলনকারীদের ব্যারিকেড ভাঙতে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে দেখা যায়। রক্তাক্ত হন বহু পুলিশকর্মী। পাল্টা পুলিশও জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কয়েক জায়গায় লাঠিচার্জও করে। তারই প্রতিবাদে গত ২৮ অগস্ট বাংলা বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। সেই দিনে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত দুই বিজেপি নেতা রবি সিংহ এবং প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অর্জুন অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দলের নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে অন্তত ছ’ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। তাতে জখম হয়েছেন তিন জন। তার মধ্যে ওই দুই বিজেপি নেত। তৃতীয় জন গাড়ির চালক। অর্জুন বলেছিলেন, ‘‘চালকের কপাল ঘেঁষে বেরিয়েছে গুলি। এখনও রক্ত লেগে আছে গাড়িতে।’’
অর্জুন দাবি করেছিলেন, রবি এবং প্রিয়াঙ্কু তাঁর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলেছিলেন অর্জুন। অর্জুনের কথায়, ‘‘গুলি চলেছে বোমা পড়েছে, আর পুলিশ এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাসা দেখছে।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পুলিশ কোথায় ছিল? জবাবে অর্জুন বলেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের তাঁবেদারি করছে। আর কোথায় থাকবে! কত দিন আর এই দালালি চলবে? শেষ হয়ে গেছে সব।’’ তৃণমূল অবশ্য অর্জুনের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিল সেই সময়।