বাবার তৈরি আইসক্রিম কারখানা বর্তমানে দেখাশোনা করতেন জিতেশ দাস। বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়ে কারখানা চলত রমরম করে। রোজকার মতো গতকালও রাতের বেলা কারখানা গোছানোর কাজ চলছিল। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
কারখানার কর্মী সুবল বণিক বলেন, রাত দশটা নাগাদ জিতেশ কারখানার এক কর্মীকে আইসক্রিম বের করতে বলেন পেটিতে ভরার জন্য। এরমধ্যেই জুতো খুলে দেওয়ালে টাঙানো ঠাকুরের ছবিতে প্রণাম করতে যান। প্রণাম করে ঘোরার সময়ে পাশেই একটি মেশিনে ওর হাত লেগে যায়। সেই মেশিন সেইসময় চার্জে দেওয়া ছিল। কোনও ক্রমে সেটি শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই জিতেশ দাস বিদ্যুতের শক খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। ঘটনা নজরে আসতেই কারখানার বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তারপর জিতেশকে উদ্ধার করে নারায়ণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় লর্ডস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তারবাবুরা বলেন জিতেশের মৃত্য়ু হয়েছে। মৃতদেহ হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেখানেই শেষপর্যন্ত নিয়ে গেলাম। এবার পোস্ট মর্টেম হবে।