সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলের রাজধানী থেকে দেশের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র। প্রাচীন শহরের গায়ে কতই না গৌরবের স্পর্শ! সাবেক সুতানুটি, গোবিন্দপুর আর কলকাতা থেকে শহর কলকাতার পুনর্জন্ম, শৈশব-কৈশোর কাটিয়ে ওঠা মহানগরীর নামেই পরিচিতি বিশ্বের দরবারে। কতই না আন্তর্জাতিক খেতাব রয়েছে ‘সিটি অফ জয়’-এর ঝুলিতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েই চলেছে। এবার বিশ্বের অন্যতম সেরা শহরের তালিকায় ঢুকে পড়ল কল্লোলিনী তিলোত্তমা। সৌন্দর্যায়ন, ভ্রমণ, উন্নয়ন ? আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষায় সব কিছুর নিরিখেই বিশ্বের আর ২৪ টি শহরের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুখবর জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। এহেন কীর্তি স্থাপনের জন্য শহরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’।
ঠিক এক যুগ আগে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে নানা স্তরে ব্যাপক বদল এসেছে। উন্নয়ন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মানোন্নয়ন, সামাজিক সুযোগসুবিধা প্রদান, পর্যটন ক্ষেত্রগুলিকে ঢেলে সাজানো-সহ একগুচ্ছ কাজ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তার সুফলও পেয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে কলকাতার কদর বেড়েছে আরও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্প বিশ্বমানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এবার কলকাতার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। বিশ্বের সেরা ২৫ শহরের মধ্যে ১৯ নম্বরে আমাদের প্রিয় শহর। রয়েছে রাজস্থানের জয়পুর ও উদয়পুরও।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফেসবুক পোস্ট করে কলকাতার নয়া গৌরবের কথা জানিয়েছেন। পর্যটন ক্ষেত্রে বিশ্বের ২৫ শহরের মধ্যে ১৯ নম্বরে কলকাতা। দ্রুত উন্নয়নের নিরিখে কলকাতার স্থান ১১ নম্বরে। ঐতিহ্য, আধুনিকতা, গতিশীলতা আর সংস্কৃতির সুন্দর মেলবন্ধনেই এ শহর বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের রাজধানীকে আরও সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর করে তুলতে শহরবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, ‘আসুন সকলে হাতে হাত মিলিয়ে কাজের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাই।’