এবার কেষ্টকে ফোন করলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো, বুঝিয়ে দিলেন কোন পথে হাঁটতে হবে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই বছর দুর্গাপুজো নিজের মাটিতে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছেন কেষ্ট। তারপর কলকাতায় চিকিৎসার জন্য গেলেও দেখা হয়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দেখা হয়নি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। উৎসব মিটলে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন কেষ্ট। তবে তার আগেই ঘটে গেল যোগাযোগ। স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ফোন করলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলে সূত্রের খবর। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।
অনুব্রত জেলে যাওয়ার আগে বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছিলেন। সিবিআই, ইডি তাঁর বিরুদ্ধে তেমন পোক্ত প্রমাণ আদালতে দিতে না পারায় জামিন পান তিনি। গ্রেফতার হওয়ার পর দেখা যায় কোর কমিটি তৈরি হয় বীরভূমে। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা দেখতে শুরু করেন। কিন্তু জেলা সভাপতি পদে কাউকে বসাননি তিনি। আর জেল থেকে ফেরার পর বীরভূমের রাজনীতি অন্য অনুব্রতকে দেখতে পাওয়া যায়। মুখে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বললেও সেটা বাস্তবে দেখা যাচ্ছিল না। কাজল শেখের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে। কোর কমিটিকে ছাড়াই বিজয়া সম্মিলনী করে চলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই হস্তক্ষেপ করলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বুঝিয়ে দিলেন আগামীদিনে কোন পথে চলতে হবে।
কেষ্ট বরাবরই তৃণমূলনেত্রীর পছন্দের পাত্র। তাই তো বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেই কেষ্টকে ওরা ছেড়ে দেবে। রাজনৈতিক স্বার্থে আটকে রেখেছে কেষ্টকে। বীরভূমে ফিরে কেষ্টও বলতে থাকেন, আমরা কেউ নেতা নই। আমরা দলের কর্মী। আমাদের নেতা একজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। আর একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে চাই। তারপর রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে এবার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোর কমিটিরই এক সদস্যকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফোনেই অনুব্রতর সঙ্গে কথা হয় নেত্রীর। অনুব্রতকে বুঝিয়ে দেন, জেলায় আর একলা চলা যাবে না।
অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেল থেকে ফিরে আসার পর দেখা যায়, দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে কোর কমিটি সদস্যদের ছবি। এমনকী কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায়নি কেষ্টকে। তা নিয়ে নানা কথা চাউর হতে থাকে। যা কানে পৌঁছেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। অনুব্রত অন্য নেতাদের ছাড়া বিজয়া সম্মিলনী করছেন। সেটাও কানে যায় নেত্রীর। তারপরই অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে কাজল শেখের বক্তব্য, ‘আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বময়নেত্রী। তিনি যেটা নির্দেশ দেবেন, সেটাই মেনে চলতে হবে।’