আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দলই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই ৬টি কেন্দ্রের নির্বাচনই হবে চতুর্মুখী লড়াই। নানা বিধানসভা কেন্দ্রে নানা রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে। মাদারিহাট কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠন রয়েছে। বাকি পাঁচটি কেন্দ্রে আধিপত্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিচুতলায় বিরোধী ভোট জোট বাঁধছে বলে খবর পেয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আর তাই নিয়ে দলের বুথ এবং অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বকে গোটা বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিলেন মলয়। যা নিয়ে এখন তুঙ্গে চর্চা।
গতকাল রবিবার বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে তালড্যাংরার উপনির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মলয় ঘটক। সংগঠনের নেতা হওয়ায় তাঁর কাছে অনেক খবরই আসে। তাই বিরোধী ভোট ‘জোট’ পাকতে চলেছে বলে সকলকে জানিয়ে দেন তিনি। সেই মতো তৈরি করে দেন রণকৌশল বলে সূত্রের খবর। বাঁকুড়ায় বিজেপি এখন অতীত। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখানে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ডা. সুভাষ সরকার। কিন্তু বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেস বাঁকুড়ায় গোপনে ভোটের জোট করতে চলেছে বলে খবর। নীচুতলার এই কাণ্ড নিয়ে মলয় ঘটক খবর পেয়ে যাওয়ায় কর্মীদের সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই উপনির্বাচনে কোনও বিরোধ নিজেদের মধ্যে না রেখে একসঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মলয় ঘটক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী ভোট একজোট হয়েছিল। তাতে লাভ হয়েছিল বিজেপির। কিন্তু তার পর ঘুরে দাঁড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া আসনটি জিতে নেয়। তবে অল্প ব্যবধানে বিষ্ণুপুর আসনটি হারাতে হয়েছে। তালড্যাংরা উপনির্বাচনে তাই বিরোধী দলগুলি ভোটের জোট করতে চাইছে। নীচুতলায় এমন কাজ হতে চলেছে বলে খবর পেয়েছেন মলয় ঘটক। কারণ চতুর্মুখী লড়াই হলে আখেরে তৃণমূল কংগ্রেসরই লাভ হবে। সেটা বুঝতে পেরেই এমন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এখন থেকে এই বিষয়টিতে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মলয় ঘটক। কারণ আগে দেখা গিয়েছে, বামের ভোট রামে গিয়েছে। সেটা এবার যদি হয় তাহলে টাফ ফাইট হবে। সঙ্গে দোসর কংগ্রেস। যারা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতে সদা সচেষ্ট বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। এই পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘জেলায় সিপিএম বিজেপিকে ভোট বিক্রি করে থাকে। ফলে ওরা জোট করল কিনা সেটা নিয়ে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমাদের প্রার্থীকে সব স্তরের মানুষ সমর্থন করেন। মানুষ তৃণমূলের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবেন। আমরা নিশ্চিত।’