শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ করেছেন একজন মহিলা সাংবাদিক। সোশ্যাল মিডিয়া–সহ এই খবর সর্বত্র চাউর হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় সিপিএম। বাধ্য হয়ে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। এই ঘটনার পরই ওই মহিলা সাংবাদিক বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ, সোমবার বরাহনগর থানায় ডেকে পাঠানো হল প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে। পুলিশের ফোন পেয়ে সাড়া দেন তন্ময়। পুলিশকে তিনি জানান, ‘অবশ্যই যাব।’ তারপর একজনের মোটরবাইকে চেপে বরাহনগর থানায় পৌঁছয় তন্ময়।
এদিকে রবিবারই তন্ময় ভট্টাচার্যকে থানায় ডেকে একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বরাহনগর থানার পুলিশ। আর সেই জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি সিপিএমকে জানান তন্ময়। রবিবারের পর আবার সোমবার তাঁকে তলব করল বরাহনগর থানার পুলিশ। সিপিএম নেতা আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে তারপর গিয়েছেন থানায়। গতকাল রবিবার ফেসবুক লাইভে ওই মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ করেন, সকালে তিনি তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন। তখন সিপিএম নেতা তাঁর কোলে বসে পড়েন। যদিও ঘটনা অস্বীকার না করে তন্ময়ের সাফাই ছিল, তিনি ইয়ার্কি করেছেন। তবে সেসব ধোপে টেকেনি।
অন্যদিকে তন্ময়ের কীর্তিতে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বিজেপি থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও তখন জানিয়ে দেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা অত্যন্ত খারাপ। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা নেবে। রাজ্য–রাজনীতিতে চাপ বাড়তে থাকায় মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। কেন এখনও তন্ময় ভট্টাচার্য কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? পুলিশের কাছে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। তারপরই এই তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এছাড়া আজ যখন পুলিশ সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে ফোন করে তলব করেন তখন তিনি উত্তর দেন, ‘আমি এখনই যাচ্ছি। আমি অবশ্যই যাব।’ পুলিশকে আশ্বস্ত করার পর কালবিলম্ব করেননি তন্ময়। কারণ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। ইতিমধ্যেই নানা মহল থেকে খোঁচা খেতে হচ্ছে। দল এই ঘটনায় পাশে দাঁড়ায়নি। এই সিপিএম নেতার একটা বয়সও হয়েছে। এই বয়সে যদি এমন অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে সমস্যার। তাই তড়িঘড়ি একজনের মোটরবাইকে করে বরাহনগর থানায় পৌঁছন তন্ময়। সেখানে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে থানায় ঢোকার আগে তন্ময় বলেন, ‘এখন কিছু বলব না। থানা থেকে বেরিয়ে বলব।’