• জুনিয়র ডাক্তারদের গণ কনভেনশনে অনুপস্থিত চার মূর্তিমান, কারা থাকলেন না সেখানে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা বাংলায় বড় আকার নিয়েছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, রাত দখল, ভোর দখল, আমরণ অনশন, লালবাজার অভিযান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক এবং তারপর সব উঠে যাওয়া। এই বিষয়গুলি বাংলার মানুষজন দেখেছেন। আর এইসব যখন চলছিল তখন চারজন বিশিষ্ট সিনিয়র ডাক্তারের ভূমিকাও সকলে দেখেছেন। কিন্তু যখন গণ কনভেনশন শুরু হল তখন আর দেখা গেল না। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, চার মূর্তি কোথায়?‌

    এই চার মূর্তি বিশিষ্ট সিনিয়র ডাক্তাররা হলেন— ডা. সুবর্ণ গোস্বামী, ডা. কুণাল সরকার, ডা. অভিজিৎ চৌধুরী এবং ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে ঘটনা ঘটেছিল তখন থেকে এই চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, সুবর্ণ গোস্বামীকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ডা. কুণাল সরকার, নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা উসকানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ইন্ধন জুগিয়েছিলেন ডা. সুবর্ণ গোস্বামী, ডা. কুণাল সরকার বলেও অভিযোগ। অথচ গণ কনভেনশনে কারও দেখা মিলল না। ডা. সুবর্ণ গোস্বামীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মৃত তরুণী চিকিৎসকের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ১৫০ গ্রাম সিমেন মিলেছিল। এই চার ডাক্তারের মধ্যে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আগেই সরে পড়েন ডা. কুণাল সরকার এবং ডা.‌ অভিজিৎ চৌধুরী।

    তারপর ১৫০ গ্রাম সিমেনের তথ্য ভুয়ো প্রমাণ হওয়ায় চাপে পড়ে যান ডা.‌ সুবর্ণ গোস্বামী। এমনকী বাম আমলে ডা. সৌমিত্র বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। সিপিএমের কাছের লোক বলেই পরিচিত ডা.‌ সুবর্ণ গোস্বামী। তাই স্লোগান ওঠে, ‘‌তোমার নাম, আমার নাম দেড়শো গ্রাম দেড়শো গ্রাম।’‌ এসব পরিস্থিতিতে এবার সরে পড়লেন ডা.‌ সুবর্ণ গোস্বামী। আর পরিস্থিতি আঁচ করেই আগেভাগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন ডা.‌ নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডা. অভিজিৎ চৌধুরী বিরুদ্ধে সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত থাকার নথি সিবিআইয়ের কাছে কুণাল ঘোষ পৌঁছে দিতেই তাঁর আর দেখা নেই। এই চারজন ডাক্তার আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ।

    এই আবহে গণ কনভেনশনে গেলে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হতো তাঁদের। নানা প্রশ্নের মুখেও পড়তে হতে পারত। তাই সুকৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই চার সিনিয়র ডাক্তারের কাউকে মঞ্চে এবং মঞ্চের নিচে দেখা যায়নি। তাই তখন থেকেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার বলেন, ‘‌এই গণ কনভেনশনে সমস্ত পেশার মানুষ আসার কথা ছিল। অথচ যে সিনিয়ররা প্রথম থেকে আন্দোলনে থাকলেন আজ তাঁরাই নেই। এটা সত্যিই অভাবনীয়।’‌ রবিবার কলকাতায় সিনিয়র ডাক্তার তথা নাগরিক সমাজের একটি মিছিল বের হয়। কলেজ স্ট্রিটের সে মিছিলেও চার মূর্তিকে দেখা যায়নি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)