উত্তর দিনাজপুর জেলার নেতা হাফিজ দীর্ঘ দিন ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। তাঁর দাদা রমজান আলি ছিলেন ওই জেলার গোয়ালপোখর কেন্দ্রের বিধায়ক। তিনি খুন হওয়ার পরে ১৯৯৪ সালে ওই আসনে উপনির্বাচনে জিতেছিলেন হাফিজ। ১৯৯৬ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৬ পর্যন্ত ত্রাণ এবং সমবায় দফতর ছিল তাঁর হাতে। ২০০৬ সালে গোয়ালপোখরে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সীর কাছে তিনি হেরে যান।
পরবর্তী সময়ে হাফিজের ভাইপো আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর নামে পরিচিত) ওই আসনে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। ২০২২ সালে হাফিজ এবং ইমরান দু’জনেই ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। হাফিজের মৃত্যুতে শোকবার্তায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার লিখেছেন, ‘‘সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায় এবং প্রগতিশীল কর্মধারার ক্ষেত্রে প্রয়াত হাফিজ আলি সৈরানির ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’