রশ্মি জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর এক প্রসূতির সিজার করছিলেন তিনি। তখনই ভেঙে যায় ‘মরচে ধরা’ ওই কাঁচি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওটির দায়িত্বে থাকা সিস্টার ইন-চার্জকে বিষয়টি জানান। ভেঙে যাওয়া কাঁচি ফেলে নতুন কাঁচি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করেন। রোগী এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ রয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তার রশ্মির দাবি, এই ঘটনা এসএসকেএমে নতুন নয়। তিনি এখন পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষ। এর আগেও তাঁর সামনে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি, ছুরি ভেঙে গিয়েছে। গত শনিবারই এ রকম একটি ঘটনা হয়েছে তাঁর সামনে। রশ্মির দাবি, একটি কাঁচি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল সে দিন।
মঙ্গলবারের ঘটনার পর সিস্টার ইন-চার্জকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন রশ্মি। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে এই ধরনের ঘটনা হলেও এই প্রথম তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারেরা এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে আন্দোলন করছেন। অভিযোগ জানানোর পর সিস্টার-ইন-চার্জ কী বলেন? ওই জুনিয়র ডাক্তারের কথায়, ‘‘আমি সিস্টার-ইন-চার্জকে ভাঙা কাঁচি দেখাই। তিনি বলেন আরও অনেকগুলিই ভেঙে গিয়েছে।’’ জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তাদের তরফে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি।
এই ধরনের কাঁচি দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হলে রোগীর কতটা ঝুঁকি থাকে? রশ্মি জানিয়েছেন, ‘‘পেটে আঘাত লেগে যেতে পারে।’’
এর আগে আরজি কর হাসপাতালে ‘রক্ত-মাখা’ গ্লাভস পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের এই অভিযোগ নিয়ে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। গ্লাভসে লেগে থাকা দাগ রক্তের কি না, তা খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এ বার এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ উঠল।