• ৮৩ কেজি ওজন ৪০ কেজির ওপর বসতে পারে?' প্রশ্ন তন্ময়ের, বলছেন, 'পরিকল্পিত কুত্‍সা'
    আজ তক | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে  দলের তরফে সাসপেন্ড করা হয়েছে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে । পাশাপাশি তাঁকে তলব করল করেছে বরানগর থানার পুলিশ। তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। এরআগে রবিবারও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় বর্ষীয়ান নেতাকে। 

    প্রসঙ্গত সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মহিলা সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ জানানোর পরেই বরাহনগর থানা তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, সিপিএম দলগত ভাবেও তন্ময়কে সাসপেন্ড করে যাবতীয় অভিযোগ পাঠিয়ে দিয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কমিটিতে (আইসিসি)। এ বার তারাই তদন্ত করবে। তার পরে ঠিক হবে দলে তন্ময়ের ভবিষ্যৎ। এদিকে ঘটনার পর সোমবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তন্ময় ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি গোটা ঘটনাটিকেই পরিকল্পিত কুৎসা বলে মন্তব্য করেন।

    তন্ময় ভট্টাচার্য প্রথমেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক দলকে দায়ী করছি না। তবে রবিবার সকালে মহিলা সাংবাদিক আমার ইন্টারভিউ নিতে আসেন। ট্রমাটাইজ হওয়ার পর তিনি ২০-২৫ মিনিট আমার ইন্টারভিউ নেন। এরপর নিজের অন্যান্য অ্যাসাইনমেন্ট ও ইন্টারভিউ করেন। এই ট্রমাটাইজ অবস্থায় এতগুলো কাজ কী করে করা সম্ভব তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান নেতা। পাশাপাশি মহিলা সাংবাদিকের ওজন ৪০ কেজি আর তিনি ৮৩ কেজি। কীকরে কোলে বসা সম্ভব, তার বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন করেন তন্ময়।  তিনি মহিলা সাংবাদিকের কোলে বসে পড়েছেন বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয়, তা হলে কি ওই মহিলা সাংবাদিক সুস্থ থাকতে পারতেন? সেই প্রশ্নও করেন। পুরো বিষয়টি বোগাস বলে মন্তব্য তন্ময় ভট্টাচার্যের। গোটা ঘটনায় কুণাল ঘোষের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে এক তরুণী সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, এদিন তাঁর তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তিনি সিপিএম নেতার কাছে পৌঁছে যান। তাঁর অভিযোগ, ইন্টারভিউ নেওয়ার আগেই তন্ময়বাবু নাকি তাঁর কোলে বসে পড়েন। মহিলা স্পষ্টভাবে জানান, তিনি এসব পছন্দ করেন না। ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, বরাবরই নিজের মাত্রার বাইরে গিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। পছন্দ না হলেও বিষয়টাকে নিজের মতো করে এড়িয়ে যেতেন তিনি। তবে এদিন বিষয়টা মাত্রা ছাড়ানোয় ফেসবুক লাইভ করেন নিগৃহীতা। 

    এই ঘটনায় তন্ময় ভট্টাচার্য  তরুণীকে চেনেন বলেই দাবি করেন। তবে যৌন নিগ্রহের কথা প্রথম থেকেই অস্বীকার করছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “আমি ওকে চিনি। একাধিকবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। বরাবরই ঠাট্টা করি। দেখলাম লাইভে এরকম অভিযোগ করছে। সাক্ষাৎকারের কথা প্রসঙ্গ আমি ওর বাঁদিকের পায়ের উপর আঙুল রেখে বলেছি, এখানে? তাতে ও পোটেনশিয়াল রেপিস্ট বলে মন্তব্য করল। এত মানুষের সঙ্গে মিশি, এতজনের সঙ্গে ইয়ার্কি-ফাজলামি করি। কেউ কোনওদিন কিছু বলেনি। ওই মেয়েটিকে আমি মা বলে ডাকি। এমন কথা হতে পারে ভাবিনি।” এর পর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদিনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুরো বিষয়টিকে চক্রান্ত বলেই মন্তব্য করেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য। 
  • Link to this news (আজ তক)