নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: টাস্ক ফোর্সের ধমক খেয়েই জলপাইগুড়ির দিনবাজারে ৮৫ টাকা কেজির টম্যাটো হয়ে গেল ৫৫ টাকা কেজি! ৭৫ টাকা কেজির বেগুনের কেজি হয়ে গেল ৪৫ টাকা! ফলে প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই ব্যাগ ভর্তি করে বাজার করলেন শহরের বাসিন্দারা।
আজ, সোমবার সন্ধ্যার পর কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিসকে নিয়ে আচমকা দিনবাজারে হানা দেন জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে মহকুমা শাসক জানতে পারেন, খুচরো বাজারে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারের থেকে অনেকটাই চড়া দরে সব্জি বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতাদের রীতিমতো ধমক দেন মহকুমা শাসক। বলেন, ‘আমরা যতটাই মানবিক হওয়ার চেষ্টা করছি, আপনারা ততটাই অমানবিক হচ্ছেন। কেন এত বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে? পাইকারি বাজার থেকে কত টাকা দরে সব্জি কিনেছেন, তার স্লিপ দেখান।’ মহকুমা শাসকের এই ধমকের পরই বাজারে সব্জির দাম অনেকটাই কমে যায়। ক্রেতারা খুশি হয়ে ব্যাগ ভর্তি করে বাজার করেন।
টাস্ক ফোর্সের সামনে এদিন খুচরো বিক্রেতাদের অনেকেই কত দরে সব্জি কিনেছেন তার স্লিপ দেখাতে পারেননি। এতে কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের এসডিও কড়া নির্দেশ দেন, ক্রেতা সেজে রোজ বাজারে হানা দিতে হবে। কোনও বিক্রেতা যদি সব্জির দাম বেশি নেন, সেক্ষেত্রে তাঁর ছবি তুলে জমা দিতে হবে মহকুমা টাস্ক ফোর্সের কাছে। পাশাপাশি খুচরো বিক্রেতারা পাইকারি বাজার থেকে কোন সব্জি কত দরে কিনছেন, তার স্লিপও খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কোনও বিক্রেতা ওই স্লিপ দেখাতে না পারেন, তাঁর বিরদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি মহকুমা শাসক বলেন, ‘কালীপুজো ও ছট উপলক্ষ্যে বাজারে সব্জির দাম চড়ছে এমন খবর পেয়েই এদিন সন্ধ্যার পর দিনবাজারে হানা দিই। কিছু বিক্রেতা বেশি দাম নিচ্ছিলেন। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। ফের অভিযান হবে।’