যে কালীমায়ের শহরে আমার কাজ শুরু, সেখানে আরজি কর হয় কী করে? কলকাতায় এসে প্রশ্ন বিদ্যার
আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
পরনে কালো চুড়িদার-কামিজ়। কানে বড় ঝোলা দুল। ওজন কমিয়ে ফেলেছেন অনেকখানি। সোমবার কলকাতায় ‘ভুলভুলাইয়া ৩’-এর প্রচারে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি বিদ্যা বালন। একেবারে দীপাবলির সাজে অভিনেত্রীর আগমন। পাশে ছবির নায়ক কার্তিক আরিয়ান। বিদ্যা সংবাদমাধ্যমকে প্রথমেই বাংলায় বললেন, “চলুন, শুরু করি।”
কলকাতার সঙ্গে বহু দিনের যোগাযোগ বিদ্যার। ২০০৩ সালে গৌতম হালদারের ‘ভাল থেকো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। বাংলাটাও ভালই বলেন তিনি। সুজয় ঘোষের ‘কহানি’-র শুটিং-এর জন্য দীর্ঘ দিন কলকাতায় ছিলেন তিনি। তাই গত কয়েক দিনে আরজি কর-কাণ্ডের জেরে কলকাতার পরিস্থিতি দেখে বিচলিত হয়েছেন বিদ্যাও। অভিনেত্রী বলেন, “দুঃখ পেয়েছিলাম। আমার কেরিয়ারের শুরু থেকে এই শহর জড়িয়ে রয়েছে। কলকাতা প্রতিবাদের শহর। মায়ের শহরে এই রকম একটা ঘটনা কী ভাবে হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না।”
‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবির গানে তাঁর ও মাধুরী দীক্ষিতের যুগলবন্দি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। বিদ্যা বলেন, “মাধুরী ম্যাম-এর সঙ্গে নাচতে হবে বলে শুরু থেকেই ভয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে বিষয়টা বেশ ভালই হয়।” ২০০৭-এর ছবি ‘ভুলভুলাইয়া’-তে বিদ্যা অভিনীত ‘মঞ্জুলিকা’কে আজও দর্শক মনে রেখেছে। প্রেতের চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলে প্রশংসা পেয়েছিলেন। বাস্তবে নিজেও অশরীরীদের বিশ্বাস করে অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “ভূতে বিশ্বাস করি। তবে যত ক্ষণ তাঁদের দেখতে পাচ্ছি না, আমি খুশি।”
আগামী ১ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। ছবির নায়ক কার্তিকের সঙ্গে এটাই বিদ্যার প্রথম কাজ। সহ-অভিনেতা সম্পর্কে বিদ্যা বলেন, “কার্তিক খুবই পরিশ্রমী অভিনেতা। শুটিং থেকে শুরু করে ছবির প্রচারের জন্য পরিশ্রম করছে ও।” বিদ্যার থেকে নাকি সামান্য বাংলাও শিখেছেন কার্তিক।