• চারটি বিয়ে করেও ক্ষান্ত হননি যুবক, পঞ্চমবার আসরে বসার আগে তথ্য ফাঁস, চম্পট পাত্র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • বন্ধুবান্ধব নিয়ে রবিবার বিয়ে করতে আসেন পাত্র। তখনও সব ঠিকঠাক ছিল। সময় যত এগোতে থাকল ততই জটিলতা বাড়তে থাকল বিয়ের। কারণ ততক্ষণে গোটা বিয়েবাড়ি জুড়ে রটে যায় ওই যুবকের এর আগেও চারটি বিয়ে হয়েছিল বলে অভিযোগ। এটি ওই যুবকের পঞ্চম বিয়ে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। এমনকী সেটা শুনতে পেয়ে যান ওই পাত্রও। ব্যস, সেই খবর পেয়েই চম্পট দেয় হবু বর। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় এই ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে মেয়েটির উপর ভয়ানক চাপ গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

    ওই যুবকের সঙ্গে ফোনে প্রেম হয়। যুবকের কণ্ঠস্বর আকৃষ্ট করে যুবতীকে। তারপর সেই প্রেম গড়িয়ে যায় বিয়ে পর্যন্তও। কিন্তু চার হাত এক হল না। তার আগেই ছন্দপতন। তাল কেটে গেল সানাইয়ের সুরের। কারণ ওই পাত্রের আগেও চারবার বিয়ে হয়েছিল বলে অভিযোগ। গোটা তল্লাটে যখন এই খবর চাউর হয়ে যায় তখন কনের বাড়ি লোকজন ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসেন। কিন্তু কোথায় ওই যুবক? ওই যুবক ততক্ষণে পগারপার। বিয়ে ফেলে পালিয়েছে সে মার খাবার ভয়ে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার মহেশপুরের বটতলা এলাকার ঘটনায় দুই বরযাত্রীর ঠাঁই হয়েছে জেলে। এখন আসল মাথাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতারণা করা হয়েছে ওই মেয়েটির সঙ্গে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সত্য গোপন করে যুবক মেয়েটিকে বিয়ে করতে এসেছিল বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি ফরাক্কার বটতলা এলাকার সাকিলা খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম হয়েছিল সামশেরগঞ্জের চস্কাপুর গ্রামের রাণা রুবেলের। দু’‌পক্ষের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা চলত দেদার। রঙিন স্বন বোনা হয়েছিল তখন। তাই পরিবারকে মেয়েটি জানিয়েছিল ওই যুবককেই বিয়ে করতে চায়। রাজি হয় পরিবারের সদস্যরা। কে জানত সবটাই মিথ্যের উপর দাঁড়িয়ে। তখন দুই বাড়ির সম্মতিতে ঠিক হয় যুবক–যুবতীর বিয়ের। মেয়ের বাড়ি পাত্রের পরিবারের দাবি মতো ৫০ হাজার টাকা পণ দিতেও রাজি হয়েছিল। বিয়ের আগে ৩৫ হাজার টাকা পণ দেওয়া হয় বলে কনের পরিবারের অভিযোগ।

    এখন যা পরিস্থিতি তাতে টাকাও গেল সম্মানও গেল। ফরাক্কা থানার পুলিশ পাত্রের ভাই এবং এক বরযাত্রীকে গারদে পুড়েছে। পলাতক রাণা রুবেলের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে। এই ঘটনা নিয়ে পাত্রী সাকিলা বলেন, ‘‌রাণার আগে চারটে বিয়ে জানতাম না। বিয়ের সময়ে শুনলাম। তাই তা জানাজানি হতেই ও বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়ে গেল। রাণা আমাকে ঠকিয়েছে। ওর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। আর এভাবে যেন কোনও মেয়েকে ঠকাতে না পারে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)