• আইসক্রিম কারখানায় ঠাকুরকে প্রণাম করে ঘুরতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মালিকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • আইসক্রিম কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মালিকের। কারখানা বন্ধ করার সময় ঠাকুরের ছবিতে প্রণাম করে ঘুরতে গিয়েই হাত লেগে যায় মেশিনে। তার জেরে তড়িদাহত হন মালিক। মৃতের নাম জীতেশ দাস, বয়স ৩৫ বছর। গতকাল রাত ১০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার তেঁতুললা এলাকায়।  আইসক্রিম ঠান্ডা করার ডিপ ফ্রিজারটি শর্ট-সার্কিট হওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি কর্মীদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবার এবং কারখানার শ্রমিক মহলে।

    কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১০টা নাগাদ নিজের কারখানাতে ছিলেন জীতেশ। সেই সময় কারখানায় শুধুমাত্র একজন কর্মী ছিলেন। তিনি ওই কর্মীকে আইসক্রিম বের করতে বলেছিলেন। ঠিক সেই সময় জুতো খুলে কারখানার দেওয়ালে টাঙানো ঠাকুরকে প্রণাম করতে যান জীতেশ। প্রণাম করার পর ঘুরতেই পাশে থাকা একটি ডিপ ফ্রিজারের সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। তবে ডিপ ফ্রিজারটি যে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছিল সে বিষয়ে কোনও ধারণায় ছিল না জীতেশের। ফলে ডিপ ফ্রিজারে হাত পড়তেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান। 

    এদিকে, কারখানার ওই কর্মী বিষয়টি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি ডিপ ফ্রিজারটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পাশাপাশি পুরো কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। তখন তড়িঘড়ি জীতেশকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় লর্ডস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া হাসপাতালে। এর পাশাপাশি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।

    মালিকের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কারখানার দীর্ঘদিনের কর্মী সুবল বণিক। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। জীতেশের বাবার আমল থেকে আমি এই কারখানায় রয়েছি। পাঁচ বছর আগে জীতেশের বাবা মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই জীতেশ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর উপরেই আমরা নির্ভরশীল ছিলাম।’ এখন তাঁর মৃত্যু হয় কারখানা কীভাবে চলবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই কর্মী। তিনি জানান, কারখানায় আইসক্রিম তৈরি করার পর বিভিন্ন দোকানে সেগুলি সাপ্লাই করতেন জীতেশ। ঘটনার রাতেও প্রতিদিনকার মতো কারখানা গোজগাছ করার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, ডিপ ফ্রিজারটি চার্জে বসানো ছিল। সেটি কোনওভাবে শর্ট সার্কিট হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)