• ট্র্যাপ ক্যামেরার ছবির সঙ্গে হুবহু মিল, কিশোরীকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া চিতাবাঘ আটক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • অবশেষে খাঁচা বন্দি করা গেল ঘাতক চিতাবাঘকে। এই চিতাবাঘের আতঙ্কে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ খয়েরবাড়ি গ্রামে। চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখে আগেই আতঙ্কে ভুগছিলেন গ্রামবাসীরা। তারপর ঘটে যায় অঘটন। তাতে চাপা আতঙ্ক বাড়তে থাকে। বন দফতরের কাছে পৌঁছয় একের পর এক মানুষের কাকুতি–মিনতি। তখন ব্যবস্থা নেয় বন দফতর। আর তারপরই ধরা পড়ে যায় ঘাতক চিতাবাঘ। আর এই খাঁচাবন্দি চিতাবাঘকে দেখতে ভিড় জমান গ্রামের মানুষ। তাতে আজ, সোমবার থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসীরা। 

    এই চিতাবাঘ গত ২০ অক্টোবর ডায়না রেঞ্জের দক্ষিন খয়েরকাটা গ্রামের এক গৃহস্থের বাড়ির উঠোন থেকে এক ১২ বছর বয়সের বালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ওই ছাত্রীর। তারপর থেকেই গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এমন ঘটনায় তুমুল ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল ডায়না জঙ্গল সংলগ্ন দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকায়। একদিকে ক্ষোভ অপরদিকে আতঙ্কে কাকুতি–মিনতি চাপে ফেলে দিয়েছিল বন দফতরকে। তখনই পরিকল্পনা ছকে ফেলা হয় ওই ঘাতক চিতাবাঘকে খাঁচা বন্দি করার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাঁদ পাতা হয়। আর তাতেই ধরা পড়ে যায় ওই চিতাবাঘ।

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কালীপুজোর আগে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে গ্রামে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে জঙ্গলের নানা এলাকায় ঘাতক চিতাবাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে বসানো হয়েছিল ট্র্যাপ ক্যামেরা। আর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পাতা হয় বাঘ ধরার খাঁচা। আজ, সোমবার ভোরের আলো ফুটতেই চিতা বাঘের হুংকার শুনে বন বিভাগের পাতা খাঁচার সামনে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। ছুটে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। দেখতে পান ধরা পড়ে গিয়েছে চিতাবাঘ। অনেকে ছবি তুলে রাখেন। আবার সেলফিও নেন। চিতাবাঘের হুঙ্কারে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। অনেকে ভয় পেয়েও যান।

    চিতাবাঘের আক্রমণে বালিকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। আজ খাঁচাবন্দি হওয়ার পর সেই শোক খানিকটা কমেছে ওই পরিবারের। আসলে যে শিশুটি মারা গিয়ে ছিল তার শোক আজও রয়ে গিয়েছে গ্রামের বাড়িতে। তবে এই চিতাবাঘ ধরা পড়ার প্রসঙ্গে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেছেন, ‘‌দক্ষিণ খয়েরবাড়ি গ্রামের ঘটনার পরই জঙ্গল–সহ আশপাশে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সোমবার সকালে যে চিতা বাঘটি খাঁচাবন্দি হয়েছে তার সঙ্গে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ওঠা চিতা বাঘের ছবি হুবহু মিলে গিয়েছে। যার ফলে ঘাতক চিতাবাঘটিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আর এই ঘটনার পর একপ্রকার নিশ্চিন্ত হলাম আমরা।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)