• বরাহনগর থানায় তিন ঘণ্টা কাটালেন তন্ময়, চলল জিজ্ঞাসাবাদ, বয়ান দিলেন অভিযোগকারিণীও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • তরুণী সাংবাদিককে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত তন্ময় ভট্টাচার্যকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না, রবিবারই সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এবার কি তবে সেই পথেই হাঁটবে পুলিশ? তোড়জোড় চলছে তারই?

    কারণ, সোমবারই তন্ময়কে বরাহনগর থানায় ডেকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযোগকারিণীরও বয়ান সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

    উল্লেখ্য, রবিবার সকালে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে চরম লাঞ্ছনার শিকার হন বলে অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভ করেন এক তরুণী সাংবাদিক।

    সেই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সমাজের সকলস্তরেই কার্যত ছি ছি পড়ে যায়। চাপের মুখে সিপিএম নেতৃত্ব জানায়, এই ধরনের ঘটনা দল কখনও বরদাস্ত করবে না। তাই, তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে, এই প্রেক্ষাপটে রবিবার রাতেই অভিযোগকারিণী সংশ্লিষ্ট বরাহনগর থানায় তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, রবিবার রাতে পুলিশ ওই তরুণীর অভিযোগ নথিভুক্ত করে। পরবর্তীতে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় তাঁর বয়ানও সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।

    সূত্রের দাবি, রবিবার সকালে তরুণী যখন সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য তন্ময়ের কাছে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নিয়েছে পুলিশ।

    ইতিমধ্য়ে, তরুণীর বয়ান নেওয়ার আগেই সোমবার দুপুরে তন্ময় ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠায় বরাহনগর থানা। তিনি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে থানায় যান এবং প্রায় তিনঘণ্টা পর থানা থেকে বের হন। আগামী বুধবার তন্ময়কে ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    প্রাথমিক অনুমান, ওই দিন প্রবীণ রাজনীতিককে আরও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাহলে কি তাঁকে গ্রেফতারের তোড়জোড় করছে পুলিশ? আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এখনও পর্যন্ত অন্তত পাওয়া যায়নি।

    তবে, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ যে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নিতে চাইছে, সেটা স্পষ্ট।

    এদিকে, এদিন পুলিশের মুখোমুখি হওয়ার পর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি বা হেনস্থার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্য়া।

    এক্ষেত্রে তন্ময়ের যুক্তি হল, তাঁর দেহের ওজন প্রায় ৮৩ কেজি। তিনি যদি ওই তরুণী সাংবাদিকের কোলে বসে পড়তেন, তাহলে কি তিনি সুস্থ থাকতেন? অর্থাৎ, তন্ময়ের দাবি, ওই তরুণী সাংবাদিক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।

    অন্যদিকে, অভিযোগকারিণী কিন্তু তাঁর অবস্থানে অনড় রয়েছেন। সোমবারও তিনি সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে সরব হয়েছেন। তাতে আইন, আদালতের প্রতি তাঁর আস্থাই প্রকাশ পেয়েছে।

    একইসঙ্গে, তরুণী জানিয়েছেন, তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আশা করছেন, আইনি পথেই সুবিচার পাবেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)