আমি তো মা বলে ডাকি, ভদ্রমহিলার ওজন ৪০ কেজি, আমার ৮৩…কোলে বসলে, আজব সাফাই তন্ময়ের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
মহিলা সাংবাদিকের কোলে বসার অভিযোগ তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপর সিপিএম তাকে সাসপেন্ডও করেছে।
তবে গোটা ঘটনায় নানা দাবি করছেন তন্ময়।
তিনি জানিয়েছিলেন, কুণাল ঘোষের এত সময় আছে। ফেসবুকে লাইভ হতে না হতে ২০ মিনিটের মধ্যে ওটা ট্যাগ করে লালবাজারকে বলতে হল। এটা কি স্বাভাবিক ঘটনা? আমি এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করছি না। আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি চেনেন মেয়েটিকে। অন্তত ১৫ বার মেয়েটি আমার বাড়িতে এসেছি। আমি ১০টা সাক্ষাৎকারের লিঙ্ক দিয়ে দিতে পারি। …মেয়েটি অভিযোগ করার ২০ মিনিটের মধ্য়ে লালবাজারকে ট্যাগ। তার ১০ মিনিটের মধ্যে দেবাংশু ভট্টাচার্য। আমি বিশ্বাস করি না ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস কিংবা পার্থ ভৌমিক, সুব্রত বক্সির কাছে গেলে এই কাজ করতেন।
তিনি বলেন, আমিও তো চাই তদন্ত হোক। একটা বাচ্চা মেয়ে, যাকে আমি মা বলে ডাকি, এবং ফেসবুকে অভিযোগ করার পরেই মেয়েটিকে ফোন করেছিলাম। বলেছিলাম কি রে মা এটা কী করলি। বলল, যা মনে হয়েছে সেটা বলেছি। তারপর হোয়াটস অ্য়াপে লিখলাম এত কথা বললি আর বললি না যে তোকে আমি মা বলে ডাকি। তখন তো বুঝিনি এত বড় ষড়যন্ত্র। এত বড় চক্রান্ত।কুৎসিত একটা পরিকল্পনা। আমি মেয়েটিকে লিখেছি। প্রথম থেকে আমি মা বলে ডাকি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না সব তৃণমূল কর্মীরা চোর। একটা বাচ্চা মেয়ে কী অভিযোগ করব। তবে মেয়েটি যখন এফআইআর করেছে তখন তো আমাকে আইনের আশ্রয় নিতেই হবে। এখানেই শেষ নয়। তন্ময় জানিয়েছেন, তিনি আজীবন বামপন্থাতেই বিশ্বাস করবেন বলেও জানিয়েছেন।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তন্ময় ভট্টাচার্য। সোমবার তিনি বরাহনগর থানায় গিয়েছিলেন। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল থানায়।
তবে মহিলা সাংবাদিকের হেনস্থা নিয়ে তন্ময়ের সোমবারের সাফাই হল, ভদ্রমহিলা আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে। আমার পাশের বাড়ির এক যুবক আমায় রাতে জানিয়েছে যে মেয়েটি হাসতে হাসতেই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। মেয়েটি ফেসবুক লাইভে বলেছেন যে উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমার বক্তব্য হল যে সময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তারপরে মেয়েটি প্রায় ২৫ মিনিট আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এরপর আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। যিনি এতটা ট্রমাটাইজ হয়ে রয়েছেন তাঁর পক্ষে কি এত কাজ করা সম্ভব?
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ভদ্রমহিলার ওজন ৪০ কেজির বেশি নয়, আমার ওজন ৮৩ কেজি। ৮৩ কেজি ওজনের এক পুরুষ যদি ৪০ কেজি ওজনের এক মহিলার কোলে বসে পড়েন তাহলে সেই মহিলা শারীরিকভাবে ফিট থাকে কি না আমি জানি না। এটা পরিকল্পিত কুৎসা। দাবি তন্ময়ের।