সংবাদদাতা, কান্দি: যানজট কমাতে কান্দি শহরে দু’টি পেইড পার্কিং জোন চালু করেছে পুরসভা। আগামী দিনে আরও কয়েকটি বাইক পার্কিং জোন চালুর চেষ্টা চলছে। তবে বাইকচালকরা পার্কিং ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন। পুরসভা বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
যানজট কান্দি শহরের একটি পুরনো সমস্যা। রোজ সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তায় যানজট দেখা দেয়। কান্দি মহকুমা হাসপাতাল রোডে তো টোটো ও বাইকের কারণে হাঁটাও মুশকিল হয়ে পড়ে। এসমস্যা মেটাতেই নারায়ণধার পার্কের পাশে ও রামেন্দ্রসুন্দর অডিটোরিয়ামের সামনে এই দু’টি পার্কিং জোন করা হয়েছে। ফলে কান্দি রাজ স্কুল, মহকুমা আদালত, পুরসভা সহ ওই এলাকার বাজারে আসা মানুষের বাইক বা স্কুটার রাখতে সুবিধা হবে।
পার্কিং জোন চালু হওয়ায় শহরের কয়েকটি এলাকায় পুরসভা ‘নো পার্কিং’ লেখা ফ্লেক্স লাগিয়েছে। সেখানে কান্দি থানার পুলিসের পাশাপাশি পুরসভার গ্রিন পুলিস পাহারা দিচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, নো পার্কিং জোন চালু হওয়ায় যানজট কমছে। কিন্তু চারচাকা গাড়ির চালকরা সমস্যায় পড়ছেন। কারণ পার্কিং জোনে চারচাকা গাড়ি রাখার পরিকাঠামো নেই। সেখানে শুধুমাত্র বাইক রাখা যাবে। বাইক রাখতে ১০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।
কিন্তু নো পার্কিং জোন করা নিয়ে বাইকচালকদের একাংশ অসন্তুষ্ট। সালারের বাসিন্দা সরফরাজ আলম বলেন, নো পার্কিং জোনে অদ্ভুত নিয়ম দেখলাম। সিভিক ভলান্টিয়াররা স্থানীয় যুবকদের সামনে জোর খাটাতে পারছে না। অথচ আমি রাস্তার পাশে বাইক রেখে দোকানে ঢুকতেই আমার বাইকে লোহার শিকল পরিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল। পরে ওঁদের সন্তুষ্ট করতে হল।
বড়ঞার শীতলগ্রাম থেকে আসা সুবীর মণ্ডল বলেন, হাসপাতাল রোড নো পার্কিং জোন করা জরুরি। অথচ তার আশপাশে পার্কিং জোন নেই। যেখানে সেটা তৈরি হয়েছে, সেখানে বাইক রাখলে টোটো ভাড়া করে কাজে যেতে হবে। সামান্য সময়ের জন্য ১০ টাকা ফি দেওয়াও সমস্যার বিষয়। তাই পুরসভা যদি ফি কমানোর ব্যবস্থা করে, তাহলে অনেকের উপকার হয়।
কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, পরিকল্পনা থাকলেও জায়গার অভাবে শহরের অন্য জায়গায় পার্কিং জোন করা যাচ্ছে না। জায়গা ভাড়া নিয়ে পার্কিং জোন করতে হচ্ছে। ফি কমানোর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।