• পাওনাদারদের চাপে জলপাইগুড়িতে ‘আত্মঘাতী’ প্রৌঢ়
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পাওনাদারদের চাপে কীটনাশক খেয়ে এক প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। মৃতের নাম জলধর রায় (৫০)। বাড়ি জলপাইগুড়ি সদরের খারিজা বেরুবাড়ির পূর্ব বাদানি এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, ব্যাঙ্কে লোন ছিল জলধরের। বাজার থেকে ধার করে টাকা নিয়ে সম্প্রতি সেই লোন মেটান তিনি। ইচ্ছে ছিল, নতুন করে আবার লোন নিয়ে বাজারের ধার মেটাবেন। কিন্তু লোন পেতে দেরি হচ্ছিল। এদিকে, পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। পরিবারের দাবি, এরই জেরে আত্মহত্যা করেন তিনি। 


    এলাকার একটি দোকানে কাজ করতেন ওই প্রৌঢ়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস। থানা সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়ের বাজারে প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো ধার ছিল। পাওনাদারদের হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পর ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরতেই পাওনাদাররা তাগাদা দেওয়া শুরু করে। এরপরই রবিবার কীটনাশক খান ওই ব্যক্তি। পরিবারের লোকজন তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে নিয়ে আসেন। কিন্তু লাভ হয়নি। সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মর্গে দেহের ময়নাতদন্ত হয়।


    এদিকে, স্ত্রীর বাপেরবাড়ি যাওয়া নিয়ে অশান্তির জেরে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সাতকুড়া এলাকায় অজিতকুমার এক্কা (৩২) নামে এক যুবক কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর দেড় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর তিনি কীটনাশক খান। পরিবারের লোকজন তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে এনে ভর্তি করেন। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে ধূপগুড়ির উত্তর গোঁসাইরহাট এলাকার নিখিল সরকার নামে এক ব্যক্তিও আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁকেও জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে আনা হয়েছিল। এদিন ময়নাতদন্ত হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)