• ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের নির্দেশ, ১৫ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হল বিমা সংস্থা
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে টালবাহানা। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের নির্দেশে অবশেষে ১৫ লক্ষ টাকা মেটাতে বাধ্য হল বিমা সংস্থা। সোমবার আদালত থেকে ওই চেক সংগ্রহ করে মৃতের পরিবার।


    ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল রাতে মেলা দেখে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ির উত্তর বামনপাড়ার যুবক শিবু দাসের। ঘটনার পর তাঁর পরিবার নথিভুক্ত বিমা সংস্থার কাছে পার্সোনাল অ্যাক্সিডেন্ট বেনিফিট বাবদ ক্ষতিপূরণ দাবি করে। অভিযোগ, নানা ইস্যুতে মৃতের পরিবারকে ঘোরাতে থাকে বিমা সংস্থাটি। বাধ্য হয়ে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন মৃতের মা ভারতী দাস। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের তরফে ওই বিমা সংস্থাকে সুদ সহ ১৫ লক্ষ টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে এতদিন ধরে মামলাকারীর হয়রানি হওয়ায় আরও ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সঙ্গে মামলা চালানোর খরচ বাবদ মৃতের পরিবারকে আদালতের লিগ্যাল এইডে দশ হাজার টাকা দিতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাকে। 


    জলপাইগুড়ি জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ বলেন, আদালতের নির্দেশমতো বিমা সংস্থাটি চেক জমা দিয়েছে। সোমবার মামলাকারী আদালত থেকে সেই চেক সংগ্রহ করেছেন। বিমা সংস্থার পক্ষের আইনজীবী জে পি পাওয়া বলেন, ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের নির্দেশ মতো আমার মক্কেল চেক জমা দিয়েছে।


    এদিকে, জলপাইগুড়িতে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে জিনিসপত্র কেনার পর ক্যারিব্যাগ বাবদ ৬ টাকা দাম নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে মামলা করেন নিকিতা আগরওয়াল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় সম্প্রতি। বলা হয়, ক্যারিব্যাগে সংশ্লিষ্ট সংস্থার লোগো ছিল। অর্থাৎ, বিজ্ঞাপন করা হয়েছে। ফলে ওই ক্যারিব্যাগ বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে কোনও অর্থ নিতে পারে না সংস্থাটি। যদিও আদালতের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা কমিশনে যায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সেখানেও জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে মামলার শুনানি ছিল। সংস্থাকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জরিমানা মেটানোর সময় দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)