বাবা-মায়ের শীতল সম্পর্কের প্রভাব ছেলের উচ্চ শিক্ষায়, মামলার সিদ্ধান্ত জানাতে সংশয়ে হাইকোর্ট
বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাবা-মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েনে শিকেয় উঠেছে ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা। বাবা চান ছেলে কলকাতার কলেজে পড়ুন। মা বলছেন, ছেলেকে কল্যাণীর কলেজে পড়তে হবে। এই নিয়ে শেষপর্যন্ত জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সব শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘২১ বছরের ছেলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে না নিতে পারলে আদালত কী করবে?’ বাবার দাবি, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছাতে বাদ সাধছেন মা। মায়ের পাল্টা দাবি, তেমনটা কখনোই নয়, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুন কিন্তু কলকাতার কলেজে নয়, তাঁকে পড়তে হবে নদীয়ার কল্যাণীতে।
কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা বাবার অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবছর আগে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তারপর থেকেই ২১ বছরের ছেলে মায়ের কাছে নদীয়ার কৃষ্ণনগরে থাকেন। নিজের ইচ্ছাকে জোর করে ছেলের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন মা। ছেলেকে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। এমনকী, তাঁর উপর মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। তাই ছেলের মুক্তির দাবিতে এবার প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা।
কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে। এই ব্যাপারে আদালত কী করতে পারে? তবে রাজ্যের তরফে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে, ছেলে নাকি মায়ের কাছেই থাকতে চান। তেমনটাই পুলিসকে জানিয়েছেন তিনি। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বাবার তরফে আইনজীবীর পাল্টা দাবি, ছেলেকে জোর করে চাপ দিয়ে এগুলি করানো হচ্ছে। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য আপাতত জানতে চেয়েছে, কীসের ভিত্তিতে বাবার এমন দাবি? এই ব্যাপারে তাঁকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। পুজোর ছুটির পর আদালত খুললে নিয়মিত বেঞ্চে হবে মামালাটির শুনানি হবে।