• খড়্গপুরের ছেড়ুয়ায় বাজি বাজারের প্রথমদিনেই ভিড়
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ছেড়ুয়া: গ্রামের পাশের মাঠেই বাজির ৩০টি স্টল বসেছে। সেখানে এখন স্টল সাজানোর ব্যস্ততার পাশাপাশি বাজি বিক্রিও করছেন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমেছে। তাই বাজির বাজারের প্রথমদিন থেকেই গ্রামে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেল। ছবিটা খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভার ছেড়ুয়া গ্রামের।ওই এলাকার প্রায় সাতহাজার মানুষ বাজি বিক্রির সঙ্গে জড়িত। ভিনজেলা থেকেও অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে পাইকারি বাজি কিনতে আসেন। প্রতি বছর সবমিলিয়ে কোটি টাকার বাজি বিক্রি হয়।এলাকার বাসিন্দা হাবলু খান বলেন, প্রথমদিন থেকেই বাজি বাজারে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। কালীপুজোর দিন আরও বেশি ভিড় হয়। সারা গ্রামের মানুষ এসময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এবছর সবুজ বাজি ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি, এবার রেকর্ড ভিড় হবে। এতে বাজি বিক্রেতারা ভালো লাভ করবেন।ছেড়ুয়ায় বংশপরম্পরায় বাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রামবাসীরা। বেশিরভাগ গ্রামবাসী বাড়িতেই নিপুণ হাতে বাজি তৈরি করেন। সেই বাজি বিক্রি করেই তাঁদের সংসার চলে। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত গ্রামবাসীদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। অবশেষে রোদ ওঠায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।এবছর কবরস্থান মাঠে প্রশাসনের তরফে ৩০টি স্টল করা হয়েছে। সেখানে বিপদ এড়াতে প্রশাসন নানা পদক্ষেপও করেছে। এক বাজি বিক্রেতা বলেন, এখন কাঁচামালের দাম অনেকটাই বেড়েছে। তাই বাজির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন কারিগররা। করোনা সঙ্কটের পর থেকে বাজির বাজার অনেকটাই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যবসা ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারাবাতি, তুবড়ি, রংমশালের বিক্রি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।


    বাজি বিক্রেতা শেখ রফিক বলেন, প্রশাসনের তরফে স্টল করে দেওয়ায় অনেকটাই উপকার হয়েছে। ভিনরাজ্যেও বাজি পাঠানো হয়। এবছর বাজারে বাজির চাহিদা ভালোই রয়েছে। নানা জায়গার অনেক ব্যবসায়ী এসে বাজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি, আগামী চারদিন অনেক বাজি বিক্রি হবে।


    এদিন বাজি কিনতে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির ব্যবসায়ী সন্দীপ সরকার। তিনি বলেন, এই এলাকা থেকে বাজি কিনে বাজারে বিক্রি করি। এতে ভালোই লাভ থাকে। কয়েকবছর আগেও বাজির বিক্রি অনেকটাই বেশি হতো। মোবাইলের যুগে বাজি বিক্রিতেও প্রভাব পড়েছে। ছোটরা আজকাল বাজি ফাটানোর চেয়ে মোবাইলে গেম খেলতে বেশি পছন্দ করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)