• আধুনিকতার ছোঁয়া, বাজার ধরার চেষ্টায় বিভিন্ন ছাঁচে তৈরি করা হচ্ছে মাটির প্রদীপ
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: দীপাবলি উপলক্ষে চাহিদা অনুযায়ী নকশা করা মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন গঙ্গারামপুরের মৃৎশিল্পীরা। বুনিয়াদপুর শহরে পালপাড়ায় চরম ব্যস্ত গৃহবধূরাও। বাজারে বাহারি এলইডি লাইট থাকলেও আলোর উত্সবের সময় মাটির প্রদীপ খুব একটা পিছিয়ে নেই। সাধারণ মানুষ কালীপুজোর রাতে মাটির প্রদীপ ব্যবহার করেন নিয়ম করে। তবে জেলার কুমোরপাড়ার প্রদীপ শিল্পীদের দাবি, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পকে আধুনিক রূপ দিতে সরকারি প্রশিক্ষণের দরকার রয়েছে। বাইরের থেকে ডাইস কিনে এনে তৈরি হচ্ছে প্রদীপ। সৌন্দর্য বাড়াতে তাতে বিভিন্ন নকশা ও রং করছেন শিল্পীরা।


    গঙ্গারামপুর কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পী সন্ধ্যা পাল বলেন, গত দু’বছর প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে জেলায়। গঙ্গারামপুর ছাড়াও কয়েকটি ব্লকে প্রদীপ সরবরাহ করি। ডিজাইন করা মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আমাদের প্রশিক্ষণ না থাকায় আগের পদ্ধতি অনুযায়ীই প্রদীপ তৈরি করছিলাম। এখন অবশ্য বিভিন্ন ডিজাইনের ডাইস দিয়ে বানাচ্ছি। বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিতে রঙিন প্রদীপও হচ্ছে।


    দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয় কুমোরদের ব্যবসা। ভোগের সরা থেকে শুরু করে প্রদীপ, ধুনুচির বিপুল চাহিদা থাকে বাজারে। দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত মাটির সামগ্রী বিক্রি করে সারা বছরের সংসার খরচ তোলার চেষ্টা করেন গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরের মৃৎশিল্পীরা।


    গঙ্গারামপুরের দশকর্মা ব্যবসায়ীরা জানান, সময়ের সঙ্গে জেলায় মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে ঠিকই, তবে ক্রেতাদের পছন্দও পাল্টেছে। এখন ক্রেতারা একটু আধুনিক মানের প্রদীপ খুঁজছেন। অল্প কিনলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকতে হবে। ডিজাইনার  ও পঞ্চপ্রদীপের চাহিদা রয়েছে। আমরা বাইরের এবং জেলার কুমোরদের তৈরি বিভিন্ন রঙের প্রদীপ রাখছি। 


    এলইডি লাইটের সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছে মাটির প্রদীপ। তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিল্পীরা হিমশিম খাচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, শহরের মৃৎশিল্পীরা যদি উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন জানান, জেলা শিল্প দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করব। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)